Saturday, November 1, 2025

ঘটনার চার দিন পরে যাদবপুরে এসে কেঁদে ফেললেন রেজিস্ট্রার

Date:

Share post:

বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ছাত্রের। সেই ঘটনার চার দিন পর অবশেষে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। যাদবপুরে এই মুহূর্তে কোনও উপাচার্য নেই, তাই রেজিস্ট্রারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই সোমবার তিনি ক্যাম্পাসে আসতেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন কোথায় ছিলেন? ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না কেন? সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েই কেঁদে ফেললেন রেজিস্ট্রার।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। গত চার দিনে গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুরের দুই ছাত্র। গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্রও। এঁদের এক জনের বিরুদ্ধে এফআইআরে অভিযোগ করেছিলেন মৃত ছাত্রের বাবা। কিন্তু রাজ্য জুড়ে যখন এ নিয়ে হই চই পড়ে গিয়েছে, তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই সোমবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছনোর পর তাঁকে একঝাঁক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। জবাবে, রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই মঙ্গলবারই মেডিক্যাল লিভ নিয়েছিলাম। চিকিৎসকের কথায় বিশ্রাম নিচ্ছিলাম বলেই ফোন বন্ধ ছিল।’’ এর পর স্নেহমঞ্জু দৃশ্যত কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘‘আমি মর্মাহত। কোনও মায়ের কোল খালি হোক চাই না।’’

এদিন স্নেহ মঞ্জু আরও বলেন, ‘‘হাঁটুর ব্যথা। তাই আসতে পারিনি। আজও কষ্ট করেই আসতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার হাই প্রেসার। এই বিষয়গুলো একদম নিতে পারি না। আভ্যন্তরীণ কমিটিও তদন্ত করছে। পুলিশও তদন্ত করছে। আমি চাই, দোষীরা শাস্তি পাক।’’

যাদবপুরের ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসি। মুহুর্মুহু ফোন আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির কাছেও। এ সপ্তাহেই ইউজিসির তরফে প্রতিনিধি দল আসার কথা যাদবপুরে। তার আগে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে তাঁর লেটার হেডে গোটা ঘটনাটির বিশদ রিপোর্ট জানাতে বলা হয়েছে।

আগামী বুধবার কেন্দ্রীয় অ্যান্টি র‌্যাগিং দল আসছে এ রাজ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে তারা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি বৈঠকে বসেছে। তাতেই যোগ দিতে আসেন রেজিস্ট্রার।তিনি বলেন, “ছুটিতে থাকার কারণে আমার ফোন বন্ধ ছিল। জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু আমি অসুস্থ তাই ওনারা প্রথমে আমায় জানায়নি। পরে আমার সঙ্গে অফিসার, ডিন অব স্টুডেন্টের কথা হয়েছে। আমি বাড়ি থেকেই কাজ করছিলাম। প্রত্যেককে নির্দেশ দিয়ে যাই কী করতে হবে। এমনকী আমার সঙ্গে দিল্লি অফিসারদেরও সঙ্গেও কথা হয়েছে।”

 

 

 

 

spot_img

Related articles

সীমান্তে কাঁটাতার থাকবে না! বিজেপি সাংসদের বার্তায় ‘দ্বিচারিতা’ তোপ তৃণমূলের

বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য গোটা দেশের জনবিন্যাসই না কি বদলে গিয়েছে। ১৫ অগাস্ট জাতির উদ্দেশ্যে ভাসনে জোর গলায়...

পাঁচবার যান: তালিকায় ন্যায্য পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নিশ্চিত করতে নির্দেশ অভিষেকের

বিহার নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের সব পদক্ষেপেই স্পষ্ট হয়েছে ন্যায্য ভোটারদের বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ায় সবথেকে বেশি...

যুদ্ধবিরতি! অরূপ মধ্যস্থ, কুণালকে ফুল দিলেন দেব

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেব-কুণাল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। শুক্রবার টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে...

ফর্ম ফিলাপ পর্বে চা শ্রমিকদের বাড়ি যান: বিশেষ নির্দেশ অভিষেকের

জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে ভোটাদের ন্যায্য ভোটার হিসাবে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর পথ। একদিকে ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ে নথি...