Monday, December 15, 2025

ঘটনার চার দিন পরে যাদবপুরে এসে কেঁদে ফেললেন রেজিস্ট্রার

Date:

Share post:

বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ছাত্রের। সেই ঘটনার চার দিন পর অবশেষে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। যাদবপুরে এই মুহূর্তে কোনও উপাচার্য নেই, তাই রেজিস্ট্রারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই সোমবার তিনি ক্যাম্পাসে আসতেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন কোথায় ছিলেন? ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না কেন? সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েই কেঁদে ফেললেন রেজিস্ট্রার।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। গত চার দিনে গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুরের দুই ছাত্র। গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্রও। এঁদের এক জনের বিরুদ্ধে এফআইআরে অভিযোগ করেছিলেন মৃত ছাত্রের বাবা। কিন্তু রাজ্য জুড়ে যখন এ নিয়ে হই চই পড়ে গিয়েছে, তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই সোমবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছনোর পর তাঁকে একঝাঁক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। জবাবে, রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই মঙ্গলবারই মেডিক্যাল লিভ নিয়েছিলাম। চিকিৎসকের কথায় বিশ্রাম নিচ্ছিলাম বলেই ফোন বন্ধ ছিল।’’ এর পর স্নেহমঞ্জু দৃশ্যত কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘‘আমি মর্মাহত। কোনও মায়ের কোল খালি হোক চাই না।’’

এদিন স্নেহ মঞ্জু আরও বলেন, ‘‘হাঁটুর ব্যথা। তাই আসতে পারিনি। আজও কষ্ট করেই আসতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার হাই প্রেসার। এই বিষয়গুলো একদম নিতে পারি না। আভ্যন্তরীণ কমিটিও তদন্ত করছে। পুলিশও তদন্ত করছে। আমি চাই, দোষীরা শাস্তি পাক।’’

যাদবপুরের ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসি। মুহুর্মুহু ফোন আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির কাছেও। এ সপ্তাহেই ইউজিসির তরফে প্রতিনিধি দল আসার কথা যাদবপুরে। তার আগে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে তাঁর লেটার হেডে গোটা ঘটনাটির বিশদ রিপোর্ট জানাতে বলা হয়েছে।

আগামী বুধবার কেন্দ্রীয় অ্যান্টি র‌্যাগিং দল আসছে এ রাজ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে তারা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি বৈঠকে বসেছে। তাতেই যোগ দিতে আসেন রেজিস্ট্রার।তিনি বলেন, “ছুটিতে থাকার কারণে আমার ফোন বন্ধ ছিল। জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু আমি অসুস্থ তাই ওনারা প্রথমে আমায় জানায়নি। পরে আমার সঙ্গে অফিসার, ডিন অব স্টুডেন্টের কথা হয়েছে। আমি বাড়ি থেকেই কাজ করছিলাম। প্রত্যেককে নির্দেশ দিয়ে যাই কী করতে হবে। এমনকী আমার সঙ্গে দিল্লি অফিসারদেরও সঙ্গেও কথা হয়েছে।”

 

 

 

 

spot_img

Related articles

গো-বলয়ে নেতৃত্ব বদল! কার্যকরী সভাপতি বিহার থেকে বেছে বার্তা বিজেপির

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নিজেদেরই ব্যর্থতায় নিজেদেরই নীতিভ্রষ্ট বিজেপি। বিজেপি নিজেদের দলেই মেনে এসেছে সব সময় এক ব্যক্তি...

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শীতের আমেজ নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলা, কুয়াশার দাপট

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শীত পড়া নিয়ে সন্তুষ্টি পেলেও বাঙালির জাঁকিয়ে শীত এখনও অধরা। আবহাওয়াবিদদের মতে তার একটা বড় কারণ...

আবাসনের মধ্যে ভোটকেন্দ্র! আপত্তি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের 

আবাসনের মধ্যে ভোটকেন্দ্র করার বিরোধিতা করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে এই...

বেঙ্গল সুপার লিগের সূচনা, চ্যাম্পিয়নরা খেলবে সরাসরি আইএফএ শিল্ডে

শ্রাচী স্পোর্টসের উদ্যোগে শুরু হল বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। রবিবার বিকেলে মালদহে এই মেগা টুর্নামেন্টের জমকালো উদ্বোধন...