দু’চোখে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন আর বাবা-মায়ের আশাপূরণ করতে সুদূর নদিয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে এসেছিল স্বপ্নদীপ। কিন্তু নির্মম ঘটনা ঘটল তার জীবনে। কিছু ভণ্ড, সমাজ বিরোধী, শিক্ষিত কুলাঙ্গারদের অত্যাচারে অকালে ঝরে গেল স্বপ্ন।

জীবনযুদ্ধে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে যেতে হল বাচ্চা ছেলেটিকে। চোখের জল মুছতে মুছতে মৃত্যুর পাঁচদিনের মাথায় ছেলের রীতি মেনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সারলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্রের বাবা।

বিষাদের এই অনুষ্ঠানে সন্তানের প্রিয় সামগ্রী উৎসর্গ করলেন স্বপ্নদীপের বাবা। তার প্রিয় মাখা সন্দেশ, পান্তুয়া দেওয়া হয়।ছিল আপেলওই। কারণ, এগুলিই যে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করত ছেলে। গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতে শ্রাদ্ধ শান্তির সময় বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বাবা। কোন বাবা চায় সন্তানের শ্রাদ্ধ করতে! দোষীদের শাস্তি দিতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চলবে বলেই দাঁতে দাঁত চেপে শপথ নিয়েছেন শোকাতুর বাবা।

অভাগা বাবার কথায়, “শাস্ত্রীয় মতে ছেলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করছি। ছেলের ছবি ছুঁয়ে শপথ নিচ্ছি, যেদিন অভিযুক্তদের শাস্তি দেব সেদিনই হবে আসল শ্রাদ্ধানুষ্ঠান।” এদিকে কোলের সন্তানকে হারানোর মতো কঠিন বাস্তব এখনও মানতে পারছেন না স্বপ্নদীপের না।

আরও পড়ুন- ছাত্রমৃ.ত্যুর জের! জোড়া শোকজে মুখ পু.ড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের
