মেইন হস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের অপমৃত্যু ঘটার পরও হুঁশ ফেরেনি। ক্যাম্পাসে ফের বহিরাগতদের আনাগোনা! স্বপ্নদীপের ঘটনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা যে এতটুকু কমেনি, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আজ, ১৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটারে দেখা গেল বহিরাগত দুই তরুণীকে। তাদের সঙ্গী দুই তরুণ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি নজরদারি না থাকার দরুণ প্রায়শই বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সন্ধ্যার পর নেশার আসর বসার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অসামাজিক কাজকর্ম হয় বলেও অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম ভিতরের দিকে পিছনের অংশে রয়েছে এই ওপেন এয়ার থিয়েটার। যা তালা বন্ধ। কিন্তু সেই তালা বন্ধ গেট রীতিমত টপকে ভেতরে ঢোকা এবং বেরোনো চলছে।
প্রসঙ্গত, গতকালই প্রাক্তনীদের যাদবপুরের হস্টেল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। সময়সীমা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩ দিন। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জেপিজি হস্টেলে থাকেন বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁদেরকে সরিয়ে দিয়ে এবার ওই হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রাখা চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, কোনও আবাসিক যদি হস্টেলে কোনও পড়ুয়াকে গেস্ট রাখতে চায়, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে। কিন্তু স্বপ্নদীপের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বহিরাগতদের যথেচ্ছ আনাগোনা, আবার পাঁচিল বা গেট টপকে। এরা কাদের মদতে ক্যাম্পাসে আসছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।