র‌্যা.গিং পর্বে রেলিংয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছিল স্বপ্নদীপকে? র.হস্য উন্মোচনে তদন্তকারীরা

মেইন হস্টেলের এক রাঁধুনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের ছাত্রদের বারান্দার রেলিংয়ের উপর দিয়ে হাঁটতে বলা হয়

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। এই বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠে উঠেছে গোটা বাংলা। কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকারের তরফেও র‌্যাগিং বিরোধী একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে স্বপ্নদীপের পরিবারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষ।

এরই মধ্যে সামনে এল র‌্যাগিংয়ের হাড়হিম এক ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য! পুলিশের দাবি, জনৈক ছাত্রের বয়ান অনুযায়ী এক সিনিয়র ‘দাদা’ তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘দেখতে পাচ্ছিস তো সামনে বারান্দা? কথা না শুনলে কী হবে, ভেবে নে।’ মেইন হস্টেলের এক রাঁধুনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের ছাত্রদের বারান্দার রেলিংয়ের উপর দিয়ে হাঁটতে বলা হয়। ঠিক সেই জায়গা থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সিনিয়রদের ওই নির্দেশ মানতে গিয়েই বারান্দার রেলিং থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

সাউথ সাবার্বান ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা মেইন হস্টেলের ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ুয়াদের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ডেপুটি কমিশনার বলেন, ‘লালবাজারের সায়েন্টিফিক উইংয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্যই আমরা এসেছিলাম। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। হস্টেলের এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তে কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। কিছু বিষয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।’