স্বপ্নদীপের মৃ*ত্যুর পেছনে সরাসরি র‌্যা*গিং যোগ! তদন্ত কমিটির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গত ৯ আগস্ট ঘটনার দিন থেকে ১০ আগস্ট স্বপ্নদীপের মৃত্যু ঘোষণার আগে পর্যন্ত সংজ্ঞাই ফেরেনি তার। অথচ আশ্চর্যের বিষয়, স্বপ্নদীপের ডাইরি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেই চিঠিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ১০ আগস্ট। ফলে একটা অপরাধকে যে ঢাকার চেষ্টা হয়েছিল তা স্পষ্ট

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয়র বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পেছনে সরাসরি র‌্যাগিং যোগের ইঙ্গিত পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। স্বপ্নদীপের সহপাঠী থেকে শুরু করে মেইন হোস্টেলের আবাসিক পড়ুয়া, হস্টেলের সুপার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, ডাক্তার সহ একাধিক জনের বয়ান রেকর্ড করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি সূত্রে খবর, সেই রিপোর্ট র‌্যাগিংয়ের তত্ত্বকেই খাড়া করছে।

ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে যাওয়ার পর থেকে গত দু’দিনে একের পর এক বৈঠক এবং সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রাথমিক সেই তদন্তে যেসব তথ্য প্রমাণ কমিটির হাতে এসেছে সেখানে স্পষ্ট, ঘটনার রাতে র‌্যাগিং হয়েছিল। যে তলায় র‌্যাগিং হয়েছিল সেই তলেই ছিল স্বপ্নদীপ। ফলে সেই র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করছে তদন্ত কমিটি।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট স্বর্ণদীপের মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও উল্লেখ, উঁচু থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। তার দেহ যখন উদ্ধার করা হয় তখন সে বিবস্ত্র ছিল। গত ৯ আগস্ট ঘটনার দিন থেকে ১০ আগস্ট তার মৃত্যু ঘোষণার আগে পর্যন্ত সংজ্ঞাই ফেরেনি স্বপ্নদীপের। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, স্বপ্নদীপের ডাইরি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেই চিঠিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ১০ আগস্ট। ফলে একটা অপরাধকে যে ঢাকার চেষ্টা হয়েছিল তা স্পষ্ট। পুলিসের তদন্তে বেরিয়ে পড়েছে স্বপ্নদীপের হয়ে কে ওই চিঠি লিখেছিল। শুধু তাই নয় স্বপ্নদীপকে দিয়ে একটি পাতায় একাধিক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তিনতলা থেকে স্বপ্নদীপ নীচে পড়ার পর তার দেহে গামছা ছাড়া আর কিছু ছিল না। এমনটাই জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী। ফলে র‌্যাগিং যে হয়েছিল তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

এখনওপর্যন্ত তদন্ত কমিটির কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট নয় যে কীভাবে স্বপ্নদীপ তিনতলা থেকে পড়ে গেল। র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে স্বপ্নদীপ নিজে পড়ে গেল নাকি তাকে কেউ ধাক্কা মেরে ফেলে দিল? নাকি, র‌্যাগিংয়ের সময়ে তাকে এমন কিছু করতে বলা হয়েছিল যা করতে গিয়ে সে নীচে পড়ে যায়। এনিয়ে আরও সাক্ষ্যপ্রমাণ নেওয়া হবে, ঘটনাস্থলেও যাবে তদন্ত কমিটি। তবে এখওপর্যন্ত যা বেরিয়ে এসেছে তা হলে ঘটনার দিন রাতে এ২ ব্লকের ওই ফ্লোরে র‌্যাগিং চলছিল।