অস্তিত্বহীনতায় ভুগছেন মোদি: নেহরু মেমোরিয়ালের নামবদলে তোপ কংগ্রেসের

0
1

বদলে দেওয়া হয়েছে নেহেরু সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার এর নাম। দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে নেহেরু সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগারের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে বদল করে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার সোশ্যাইটি করেছে মোদি সরকার। এই সংগ্রহশালার চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রাক্তন প্রধান সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্র। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে গঠিত মিউজিয়ামের নাম এভাবে বদলের ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম(Nehru Museum) এবং লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর যাদুঘর এবং গ্রন্থাগার সোসাইটি হিসাবে নামকরণের সাথে সাথেই কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) “অস্বীকার করা”, “বিকৃতকরা” “মানহানিকর” এবং “ধ্বংস” করার নিজস্ব এজেন্ডা রয়েছে। গত জুনে নেহেরু সংগ্রহশালার নাম বদল করে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা করার সিদ্ধান্ত হয়।

জানা গিয়েছে, সিদ্ধান্ত জুনে হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে নাম বদলের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে বেশ কিছু নথিপত্রের কাজ বাকি ছিল। দিন কয়েক আগেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তারপরেই স্বাধীনতা দিবসে নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও কংগ্রেসের তরফে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইতিহাস মুছে ফেলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, “আজ থেকে একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান নতুন নাম পেল। বিশ্ববিখ্যাত নেহেরু সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারের নাম বদলে করা হল প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার। আমাদের প্রথম এবং সবচেয়ে বেশিদিন কাজ করা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্ক এলেই প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁর উদ্দেশ্য হল অস্বীকার করা, বিকৃত করা। তিনি নেহেরুকে অসম্মান এবং বিকৃত করছেন। যদিও এসব করে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে নেহেরুর অবদান অস্বীকার করতে পারবেন না এবং গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, বৈজ্ঞানিক এবং ভারত রাষ্ট্রের উদারতার ভিত্তি স্থাপনের কৃতিত্ব কেড়ে নিতে পারবেন না।”