তালিবান আছে তালিবানেই। এই কথা অনেক দিনই প্রমাণিত আফগানিস্তানে। এবার সেই অন্ধকার শাসনের কথা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরলেন এক আফগান তরুণী। শিক্ষার দাবিতে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তিনি। খুলে দিলেন তালিবানের মুখোশ।

২০২১-এর ১৫ অগাস্ট ভারত যখন স্বাধীনতার তিরঙ্গা উড়িয়েছে, তখন পরাধীনতার কালো আঁধার নেমে এসেছিল আফগানিস্তানে (Afghanistan)। দেশ দখল নিয়ে তালিবান (Taliban) জানিয়েছিল, পুরনো গোঁড়ামি দূরে সরিয়ে এখন তারা তালিবান ২.০। বলেছিল, নারী স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলিতে তারা এখন বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বেলুন অচিরেই ফেটে যায়। বেরিয়ে পড়ে তালিবানের আগের চেহারা। বই ধরলেই মেয়েদের দিকে ধেয়ে আসছে গুলি। একের পর এক কঠোর সামাজিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে মহিলাদের উপর। বেশকিছু প্রদেশে ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এমনকী, বাস-ট্যাক্সি চালকরা তালিবানের ভয়ে মহিলাদের উঠতে দিচ্ছেন না। স্থানীয় আফগান সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, তালিবান আমলে সংবাদমাধ্যম থেকে ৮০ শতাংশ মহিলা কাজ হারিয়েছেন।
বছর দুয়েক আগে যখন আফগানিস্তান দখল নেয় তালিবান, তখনই সেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া সোমায়া ফারুকি। বছর একুশের তরুণী এখন থাকেন আমেরিকায়। তিনি আফগান মহিলাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রসংঘের ‘এডুকেশন ক্যাননট ওয়েট’ ক্যাম্পেনের মুখ। আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার তরুণীর জন্য লড়াই চলাচ্ছে তাঁদের সংস্থা। এবার সেই লড়াইকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তীব্র করে তুলতে চাইছেন ফারুকি।
