বাবার বিয়ে ‘অবৈধ’! বিস্ফোরক লক্ষ্মণ শেঠের ছোটছেলে, রিসেপশনে থাকবেন না দুইভাই

যদিও, এনিয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপ নিতে চান না তিনি বা তাঁর দাদা সায়ন্তন শেঠ। আর বিয়ের রিসেপশনে তাঁদের থাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না- সাফ জানিয়ে দিলেন লক্ষ্ণণ-পুত্র সুদীপ্তন।

জয়িতা মৌলিক

বাবার বিয়ে ‘অবৈধ’! জাল বিয়ের সার্টিফিকেট। লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Seth) সেকেন্ড ইনিংস নিয়ে বিস্ফোরক লক্ষ্ণণের ছোটপুত্র সুদীপ্তন শেঠ। তাঁর অভিযোগ, এই বিয়েটা হয়নি। আর শুক্রবার, রিসেপশনে থাকা প্রশ্নই ওঠে না। ৩০ মে মালা বদল, ১৮ অগাস্ট প্রীতিভোজ- একসময়ের দাপুটে সিপিআইএম নেতার বিয়ে নিয়ে সরগরম বাংলা। আর এই বিয়ে নিয়ে ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এ বোমা ফাটালেন লক্ষ্ণণের ছোটপুত্র সুদীপ্তন শেঠ (Sudiptan Seth)। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, লক্ষ্ণণ ও মানসীর বিয়ের শংসাপত্র জাল। যদিও, এনিয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপ নিতে চান না তিনি বা তাঁর দাদা সায়ন্তন শেঠ। আর বিয়ের রিসেপশনে তাঁদের থাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না- সাফ জানিয়ে দিলেন লক্ষ্ণণ-পুত্র সুদীপ্তন।

বিয়েই হোক বা প্রেম- বয়স কোনও বাধা নয়। ৭৭ বছর বয়সে সেকেন্ড ইনিংস শুরু করে ফের একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। পাত্রের বয়স ৭৭ আর পাত্রীর ৪২। এটা অবশ্য বিয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নয়। লক্ষ্মণ শেঠও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও অন্যায় করেননি, বেআইনি কাজও করেননি। ২০১৬ সালে লক্ষ্মণের প্রথম স্ত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক তমালিকা পণ্ডা শেঠের মৃত্যু হয়। তাঁদের দুই সন্তান- সায়ন্তন ও সুদীপ্তন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একা হাতে সংসার ও রাজনীতির ময়দান সামলে লক্ষণ শেঠ। এবার নতুন হাতে হাত কংগ্রেস নেতার। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠকে লক্ষ্মণ জানান, “এক ইনিংসে তো আর খেলা শেষ হয় না।” তাঁর সংযোজন, “রাজনীতি আর পারিবারিক জীবন এক নয়। আমার বয়স হয়েছে। তাই এই সময়ে কেউ একজন নিজের মানুষ পাশে থাকলে অনেকটাই মনের জোর পাওয়া যায়। তাই এমন সিদ্ধান্ত।” একথা তো ঠিকই। তাহলে আপত্তি কোথায়?

ছোট বয়সে মাকে হারিয়েছেন। সেই জায়গায় কাউকে বসাতে পারবেন না তাঁরা- জানিয়ে দিলেন লক্ষ্ণণের ছোটপুত্র। তাঁর মতে, বাবা বিয়ে করতেই পারেন। কিন্তু যাঁকে পরিবারের আনা হবে তাঁর সঙ্গে তো বাকি সদস্যদের পরিচয় করাতে হবে। মিলমিশ হতে হবে। এক্ষেত্রে মানসী দে-র সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্কই নেই বলে দাবি সুদীপ্তনের। এই বিয়ে, প্রীতিভোজ কোনও কিছুতেই থাকবেন না দুইভাই।

কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে বাবারও তো কোনও অবলম্বন দরকার। উত্তরে সুদীপ্তন বলেন, সে কথা ঠিক। কিন্তু সেক্ষেত্রে যাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে তো পরিবারের আলাপ করাতে হবে। শুক্রবার, রিসেপশনেও তাঁদের সঠিক ভাবে ডাকা হয়নি বলে দাবি লক্ষ্ণণ-পুত্রের। মৌখিক বলা হয়েছে, কোনও কার্ড পাঠানো হয়নি। বাবার রিসেপশনে তাঁদেরই তো দায়িত্ব নেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁদের কোনও আলোচনাই হয়নি।

তাহলে মিসেস শেঠ… প্রশ্ন শেষ করতে দেন না সুদীপ্তন। তীব্র প্রতিবাদ করে বলে ওঠেন, উনি (Manasi Dey) এখনও মিসেস শেঠ হননি। বিয়ের সার্টিফিকেটটি (Marriage Certificate) জাল করে তৈরি। ওঠা চ্যালেঞ্জ করলে বিয়েটা ভেস্তে যাবে। কিন্তু তা নিয়ে আর জলঘোলা করে বাবাকে আর বিব্রত করতে চান না ছেলেরা। তবে, এই বিয়ে মানেন না দুইভাই। বিয়ে বা রিসেপশন কোনও অংশগ্রহণ করছেন না তাঁরা।

 

 

 

Previous articleযাদবপুর কাণ্ডের জের,মেডিক্যাল কলেজে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন এমএসভিপি
Next articleমৃত্যু ও ধ্বংসের উপত্যকা মণিপুর: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ১০ কুকি-জোমি বিধায়কের