Thursday, August 28, 2025

কোন অধিকারে ত*দন্ত, কেন মা*মলা দিল্লিতে নেওয়ার আর্জি! আদালতেই তীব্র ভর্ৎ*সিত ED

Date:

গরুপাচার মামলার (Cattle trafficking case)তদন্তে আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বিচারকের প্রশ্ন কোন অধিকারে এই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা (Central Agency)? গত ২৮ জুলাই গরু পাচার মামলা আসানসোল আদালত থেকে দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ কোর্টে (Rouse Avenue Court)নিয়ে যেতে চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আজ শনিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের (CBI)বিশেষ আদালতে ইডির (ED) করা আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি চলছিল। সেখানেই বিচারকের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে কার্যত বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রকে (Abhijit Bhadra)। আজ শুনানির শুরুতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় ঠিক কতগুলি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। এর জবাবে সিবিআইয়ের তদন্তকারি অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, একটি চার্জশিট এবং চারটি সাপ্লিমেন্টরি (অতিরিক্ত) চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মামলায় কতজন সাক্ষী রয়েছেন বলেও জানতে চায় আদালত। উত্তর আসে ৫০০। এর পরেই বিচারক ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রকে প্রশ্ন করেন “এই মামলাটি আপনারা তদন্ত করছেন কোন অধিকারে?” পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও নথি দেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানতে চান। বিচারকের এই প্রশ্নবাণের কাছে কার্যত ‘আত্মসমর্পণ’ করেন ইডির আইনজীবী।

গরুপাচার মামলায় তিহার জেলে রয়েছেন অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক সম্পত্তির খতিয়ানে অসঙ্গতি থাকায় সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।  এবার পুরোপুরি বাংলা থেকে এই মামলা দিল্লিতে নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। বিচারক সরাসরি ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান যে কেন NIA বা অন্য কোনও সংস্থা দিয়ে কেন এই মামলার তদন্ত হবে না? যেখানে এই মামলার অধিকাংশটাই এখানকার সিবিআই আদালতে শুনানি হচ্ছে। তা হলে কী ভাবে ED নিজেদের ইচ্ছে মতো অন্য কোনও আদালতে এই মামলা নিয়ে যেতে চাইছে, এই প্রশ্নও ওঠে। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সংস্থা বলেই ED স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অন্য এজেন্সির মামলাকে অন্য কোনও আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করতে পারে কী না সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে এদিন। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে যে বিজেপি সরকার নিজেদের কার্যসিদ্ধি করতে চাইছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, এই অভিযোগ বারবার তুলেছেন বিরোধীরা। একটা মামলা যখন চলছে এবং সেখানে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাই, সেখানে জোর করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সেই মামলাকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার মধ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ সেপ্টেম্বর।

 

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version