দলই শেষকথা, পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের জন্য “ঘোষণাপত্র” তৃণমূলের

তৃণমূল এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে পঞ্চায়েতে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের শৃঙ্খলার বার্তা দিতে চেয়েছে। সর্বোপরি দলের উর্ধ্বে ব্যক্তি নয়, এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে চেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) রাজ্যজুড়ে দুর্দান্ত ফলাফল করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সর্বস্তরে বোর্ড গঠন প্রায় শেষ। বিভিন্ন জায়গায় শীর্ষ পদাধিকারীর পদে আনা হয়েছে নতুন মুখ। প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মহিলাদেরও। অন্যদিকে, দলীয় শৃঙ্খলার দিকেও বিশেষ জোর দিতে চলেছে শাসক দল। গ্রাম পঞ্চায়েত হোক, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদ, দলই যে শেষকথা তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নবনির্বাচিত ও পুননির্বাচিত সদস্যদের। পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই সংশ্লিট বোর্ডের দলনেতা ও দলের সিদ্ধান্তই শেষকথা। সেটাই বাকি সদস্যদের মেনে চলতে হবে। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আইন মেনেই চলে যেতে পারে সদস্য পদ।

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে পঞ্চায়েত আইন মেনেই সদস্য পদ বিলোপ করতে পারেন দলনেতা। এই মর্মে একটি “ঘোষণাপত্র” দেওয়া হচ্ছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সমস্ত জয়ী প্রার্থীকে। সেই ঘোষণাপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে দলীয় নেতৃত্বকে। ঘোষণাপত্রে জয়ী সদস্যের নাম, ঠিক সহ বিস্তারিত বিবরণ থাকবে। তিনি পঞ্চায়েতের কোন স্তরে নির্বাচিত তারও উল্লেখ করতে হবে।

ঘোষণাপত্রের বয়ান এই রকম, “আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি………… জেলা পরিষদের/পঞ্চায়েত সমিতির/গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম রূপায়ণে………..জেলা পরিষদের/পঞ্চায়েত সমিতির/গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতার নির্দেশ মতো সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করব। যদি এর অন্যথা করি, তবে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন-১৯৭৩ এর ২১৩-ক ধারা অনুসারে………..জেলা পরিষদে/পঞ্চায়েত সমিতিতে/গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাকে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনার জন্য এবং সদস্যপদ বিলোপের জন্য দলনেতা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না বা আমার কোন অভিযোগ আইন-আদালতে গ্রাহ্য হবে না।”

তৃণমূল এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে পঞ্চায়েতে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের শৃঙ্খলার বার্তা দিতে চেয়েছে। সর্বোপরি দলের উর্ধ্বে ব্যক্তি নয়, এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে চেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

 

 

 

 

Previous articleদুর্নী.তির অভিযোগ ওঠা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের প্রশংসা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
Next articleছাত্রমৃ.ত্যুকে কেন্দ্র করে অ.শান্তির চেষ্টা! গেরুয়া বাহিনীর দাপটে অবরুদ্ধ ৮বি চত্বর