আয় বাড়াতে প্রস্তাব, সল্টলেক-কল্যাণীর জমি ফ্রি হোল্ড দেওয়ার ভাবনা রাজ্যের

রাজ্য সরকার এবার সল্টলেক ও কল্যাণীতে লিজ জমির মালিকদের ফ্রি হোল্ড বা নিঃশর্ত মালিকানা দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করছে। আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরের সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এক মন্ত্রীগোষ্ঠী এ বিষয় নানা দিক খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। গত জানুয়ারি মাসে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর নিঃশর্ত মালিকানা পেতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড কনভার্শন (লিজ হোল্ড ল্যান্ড টু ফ্রি হোল্ড) ২০২২ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি রাজ্য ভূমি সংস্কার দফতরও শিল্প-বাণিজ্যে লিজে দেওয়া সরকারি জমির নিঃশর্ত মালিকানা দেওয়ার জন্য আইন সংশোধন করে ফি সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিধি প্রণয়ন করেছে।

গত জানুয়ারি মাসেই নগরোন্নয়ন দফতর কেএমডিএ, হিডকো, নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সহ রাজ্যের ১৮টি উন্নয়ন পর্ষদ এলাকার নিয়ন্ত্রণাধীন দীর্ঘমেয়াদী লিজ জমিকে নিঃশর্ত মালিকানায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ফলে শিল্প সংস্থার পাশাপাশি লিজ জমিতে গড়ে ওঠা আবাসন প্রকল্পগুলি নিঃশর্ত মালিকানা পেতে বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছে বলে দফতর সূত্রে জানা গেছে।

এ দিকে সল্টলেকে সব জমিই নগরন্নোয়ন দফতর থেকে দীর্ঘমেয়াদি লিজের ভিত্তিতে দেওয়া রয়েছে। সল্টলেকের বাসিন্দাদের মধ্যে এই জমির মালিকানা পাওয়ার আগ্রহ বেশি। কারণ জমির মালিকানা পাওয়া গেলে হস্তান্তর করা সহজ হবে। হিডকোর জমির ক্ষেত্রে যে সুযোগ রয়েছে। ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্তাদের মতে, নিঃশর্ত মালিকানা দেওয়া হলে রাজ্য সরকারের আয় দু’ভাবে বৃদ্ধি পাবে। প্রথমত, নিঃশর্ত মালিকানা পাওয়ার জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি থেকে রাজস্ব আসবে। আবার মালিকানা হাতে পেলে সল্টলেকে জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর সহজ হবে। তাতে রেজিস্ট্রেশন বাবদ ওই জমি থেকে সরকার দ্বিতীয়বার রাজস্ব আদায় করতে পারবে। এখন লিজে পাওয়া সল্টলেক বা কল্যাণীর জমি হস্তান্তর নিয়ে নানা গরমিল রয়েছে, নয়া পদ্ধতিতে যা সহজে বন্ধ করা যাবে।

আরও পড়ুন- বাম আমলের জমির চরিত্র বদল কে.লেঙ্কারির তদন্ত শুরু নবান্নের, বিশেষ নজর উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায়

 

Previous articleবাম আমলের জমির চরিত্র বদল কে.লেঙ্কারির তদন্ত শুরু নবান্নের, বিশেষ নজর উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায়
Next articleফের বি.তর্ক! বহিষ্কৃত নেতার নাম দলীয় মুখপত্রের বিজ্ঞাপনে, অস্বস্তিতে সিপিএম