বাম আমলের জমির চরিত্র বদল কে.লেঙ্কারির তদন্ত শুরু নবান্নের, বিশেষ নজর উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায়

বাম আমলে উত্তরবঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার একর জমির চরিত্র বদল কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করেছে নবান্ন। গত কয়েক বছরের মধ্যে কোন জেলার কোন মৌজায় কত সংখ্যক জমির চরিত্র বদল হয়েছে, তার সম্পূর্ণ পরিসংখ্যান সহ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট ১৫ দিনের মধ্যে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করবেন।

অ্যান্টি করাপশন সেল গোটা ঘটনার গভীরে যেতে চাইছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বাম আমলে এই দুর্নীতিতে কাদের মদত ছিল, তাও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন অ্যান্টি করাপশন সেলের অফিসাররা। শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু জলাভূমি ভরাট করে আবাসন তৈরির সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের বয়ানও রেকর্ড করতে পারেন তদন্তকারীরা। যদিও তাঁদের অনেকে এখন অবসরপ্রাপ্ত। তবু তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

জমি কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে বেশি নজর কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। রাজ্যের অ্যান্টি করাপশন সেলের প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে, এই তিন জেলায় বড় চক্র সক্রিয়। বাম আমলে কোচবিহার জেলায় প্রায় ৮ হাজার একর এবং আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা (অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলা) মিলিয়ে সাড়ে ১২ হাজার একর জমির চরিত্র বদল করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে হদিস মিলেছে। এছাড়া মালদা জেলায় ৩ হাজার একর জমির চরিত্র বদল করা হয়েছে। ওই জমির চরিত্র বদল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে ৮ জেলার যে ৩৫ জন আধিকারিকের কাজকর্ম তদন্তের আওতায় রয়েছে, তাঁদের সিংহভাগ এই তিন জেলার। তাঁদের কেউ কেউ অন্য দফতরে বদলি হয়ে গিয়েছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে, তাঁদের ১২ জনই কোচবিহার জেলায় কোনও না কোনও সময় কর্মরত ছিলেন। জলপাইগুড়ি জেলায় ওই সংখ্যা ১০ জন। এছাড়া আলিপুরদুয়ারের ৭ ও মালদা জেলার ৬ জন আছেন। এঁরা সবাই অনৈতিকভাবে জমির চরিত্র বদলে অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন- বিরল প্রজাতির দিলীপকে চাঁদে পাঠানো হোক! মোক্ষম খোঁ.চা কুণালের

Previous articleএশিয়া কাপে বল হাতে দেখা যেতে পারে বিরাট-রোহিতকেও, সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন স্বয়ং ভারত অধিনায়ক
Next articleআয় বাড়াতে প্রস্তাব, সল্টলেক-কল্যাণীর জমি ফ্রি হোল্ড দেওয়ার ভাবনা রাজ্যের