ফের বি.তর্ক! বহিষ্কৃত নেতার নাম দলীয় মুখপত্রের বিজ্ঞাপনে, অস্বস্তিতে সিপিএম

ফের বিতর্কে চাপে আলিমুদ্দিন! এবার বিজ্ঞাপন বিতর্ক। দলের মুখপত্রে পরপর দুদিন দলের সদ্যবহিষ্কৃত নেতার নামে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে অস্বস্তিতে পড়ল সিপিএম।

কোন ঘটনা নিয়ে বিতর্ক? টালিগঞ্জের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তহবিল টাকা নয়ছয়ের ব্যাপারে দলের দুই নেতার ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল সিপিএম রাজ্য কমিটিতে। তদন্ত করে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ও রাজ্য কমিটির সদস্য মেঘলাল শেঠকে নিয়ে কমিশন তৈরি হয়। সেই কমিশন সাক্ষ্য গ্রহণ করে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে। এরপর সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলী ওই দুই নেতাকে ছ’মাস সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইসঙ্গে বলা হয়, কলেজের পদ ছেড়ে দিতে হবে। অর্থাৎ কলেজের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না। তার জন্য এক মাসের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল টালিগঞ্জ ও বেহালা পূর্বের দুই নেতাকে। অভিযুক্তদের এক জন, দলের একটি এরিয়া কমিটির সম্পাদক পদে ছিলেন। তাঁকে সেই পদও ছাড়তে বলা হয়।

কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে কলেজের পদ ও দলের পদ কোনোটিই ছাড়েন নি ওই দুই নেতা। শেষ অবধি সিপিএমের রাজ্য কমিটির অনুমোদনে ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি। এদিকে দলীয় নিয়ম অনুযায়ী ওই দুই নেতার বহিষ্কারের ঘোষণা করা হয় গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু তার দুদিন পর অর্থাৎ রবিবার রাজ্য সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের প্রথম পাতায় ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একটি সেমিনারের বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। তাতে ওই বহিষ্কৃত নেতার নামও রয়েছে। সোমবার শেষ পাতাতেও একই বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে। এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে দলে। এই বিতর্ক নিয়েই জলঘোলা হচ্ছে সিপিএমের অন্দরে। অনৈতিক কাজ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলেরই একাংশ। অনেকে বলছেন, তা হলে কি বহিষ্কৃত নেতার অনুগামীদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হল?

 

 

Previous articleআয় বাড়াতে প্রস্তাব, সল্টলেক-কল্যাণীর জমি ফ্রি হোল্ড দেওয়ার ভাবনা রাজ্যের
Next articleবাড়ি ফেরার পথে দু.ষ্কৃতীদের গু.লিতে প্রাণ গেল মহম্মদবাজারের ব্যবসায়ীর! তদন্তে পুলিশ