Thursday, August 21, 2025

নিষ্ক্রিয় মোদি সরকার, আটকে দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের শাস্তি: CVC রিপোর্ট

Date:

Share post:

দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের শাস্তি দিতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সংস্থা তবে মোদি সরকারের(Modi Govt) অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে সেই প্রক্রিয়া। সম্প্রতি এমনটাই জানা গেল কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের(CVC) রিপোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মুখে দুর্নীতি বিরোধীতার কথা বলা নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) দুর্নীতির(Corruption) বিরুদ্ধে পদক্ষেপের স্বদিচ্ছা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ৫০০ র ও বেশি দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মী ও আধিকারিক।

কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি কর্মী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। তার ঠিক পরেই রয়েছে রেল। ২০২২ সালের বার্ষিক রিপোর্টে ভিজিল্যান্স কমিশন জানিয়েছে, ২৭২টি আবেদন বকেয়া পড়ে রয়েছে ৩ মাসের বেশি সময় ধরে। যেখানে ৫০০ জনের বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিতে অনুমোদন চায় সিবিআই। যদিও সিবিআইয়ের সেই আবেদন বকেয়া ফেলে রাখা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিভিসি। আইন অনুযায়ী, কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা। ৩ মাসের মধ্যে সরকারকে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যদিও এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে ভিজিল্যান্স কমিশন। তবে যদি অ্যাটর্নি জেনারেল বা অন্য কোনও আইনি বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত এক মাস সময় দেওয়া হয়।

ভিজিল্যান্স কমিশনের বার্ষিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মোট ৫২৫টি বকেয়া আবেদনের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের আওতাধীন আর্থিক পরিষেবা বিষয়ক দপ্তরের ১৬৭টি আবেদন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে ৪১টি, অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব দপ্তর, কয়লা ও খনিজ এবং অন্যান্য মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ৩১টি করে আবেদন বকেয়া রয়েছে। হিমাচল প্রদেশ সরকারের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ২৫টি আবেদন বকেয়া রয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বকেয়া রয়েছে ২৩টি আবেদন। সিভিসি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, রেলমন্ত্রকের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ২২টি আবেদন বকেয়া রয়েছে। শ্রমমন্ত্রকের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ২০টি আবেদন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ১৬টি, কর্মিবর্গ মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ১২টি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ১১টি এবং শিক্ষামন্ত্রকের ৮টি আবেদন সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় বকেয়া পড়ে রয়েছে। দিল্লি সরকারের এই ধরণের ৬টি আবেদন বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে ভিজিল্যান্স কমিশন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের বিরুদ্ধে বকেয়া রয়েছে ৬টি করে আবেদন।

spot_img

Related articles

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...

মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে তৃণমূলকে নিশানা মোদির, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

রাজ্যে কয়েকটি মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ-নিয়ে বৃহস্পতিবারই তিনি এক্স হ্যান্ডলে...