বিমান দুর্ঘট.নায় সত্যিই মৃ.ত পুতিনের শত্রু প্রিগোঝিনের?মৃ.তের তালিকায় রয়েছে ওয়াগনার প্রধানের নাম

সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে মঙ্গলবার আইএস এবং আল কায়দার বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। বুধবার রুশ সংবাদমাধ্যম দাবি করল, ওয়াগনার বাহিনীর সেই প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন!

আরও পড়ুনঃ ওয়াগনার বিদ্রোহে উদ্বিগ্ন ভারত, ডোভালকে ফোন রুশ কর্তার

বুধবার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বেসরকারি সংস্থার এমব্রেয়ার লিগ্যাসি বিমান তেভর অঞ্চলের কুজ়েনকিনো গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে পাইলট, ক্রু, যাত্রী-সহ মোট ১০ জন ছিলেন। তাঁদের সকলেই মারা গিয়েছেন। মৃতদের তালিকায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একদা ঘনিষ্ঠ প্রিগোঝিন রয়েছেন বলে প্রকাশিত ওই খবরে দাবি। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। তবে এর আগেও রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রিগোঝিনের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হয়েছে।

মঙ্গলবার রুশ ভাড়াটে যোদ্ধাদলের নেতা প্রিগোঝিন ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছিলেন, এখন আফ্রিকার মরুভূমিই তাঁর ঠিকানা। ওয়াগনার বাহিনীতে নতুন করে যোদ্ধা নিয়োগের কথা ঘোষণা করে ‘ইচ্ছুকদের’ যোগাযোগের জন্য একটি ফোন নম্বরও দিয়েছিলেন তিনি। ভিডিয়ো দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, প্রিগোঝিন এখন সাহারা মরুভূমি লাগোয়া কোনও দেশে রয়েছেন। তবে ঠিক কোথায় তিনি রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি একদা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ওয়াগনার প্রধান। ভিডিয়ো বার্তায় প্রিগোঝিন বলেন, ‘‘এখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি। তবে আমরা খুশিতেই রয়েছি। ওয়াগনার এখন সব মহাদেশে রাশিয়ার গৌরব বাড়াতে অবদান রেখেছে। এ বার আফ্রিকার মানুষকে মুক্তি এবং আনন্দের স্বাদ দিতে এবং তাঁদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করব। আমরা ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়দা-সহ সব জঙ্গিদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হব।’’

প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে প্রিগোঝিন খুন করা হয়েছে বলে জুলাই মাসের গোড়ায় অভিযোগ উঠেছিল। মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর প্রিগোঝিন বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জল্পনা ছিল।

গত বছর কিভ, ডনবাস-সহ ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চল দখলের গুরুদায়িত্ব তাঁরই বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু রুশ ধনকুবের প্রিগোঝিনের ভাড়াটে যোদ্ধাগোষ্ঠী ওয়াগনারের ‘বন্দুকের নল’ গত জুন মাসে ঘুরে যায় পুতিনেরই দিকে। রুশ প্রেসিডেন্ট সেই ‘বিদ্রোহ’ সফল ভাবে মোকাবিলার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল প্রিগোঝিনের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে। এর পর হঠাৎ তাঁর নিখোঁজ থাকার ঘটনায় নতুন করে জল্পনা ছড়ায়। তাঁকে খুন বা জেলবন্দি করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল কয়েকটি পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম।

 

Previous articleচাঁদের মাটি ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন জয়ন্ত-মানস-কৃষাণুরা,চাঁদের মাটি ছুঁতেই বঙ্গ সন্তানদের মুখে হাসি!
Next articleচাঁদে পৌঁছে দোর খুলল বিক্রম,’ভূমিষ্ঠ’ হল রোভার প্রজ্ঞান