ভারতের জাতীয় কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করল UWW, মোদি সরকারকে দায়ী করলেন মমতা

এদিন মমতা টুইটারে লেখেন," বিশ্ব কুস্তি সংস্থা ভারতের কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করেছে এই খবর শুনে আমি অবাক।

বড় শাস্তির মুখে পরল ভারতের জাতীয় কুস্তি সংস্থা। ভারতের জাতীয় কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করল বিশ্ব কুস্তি সংস্থা। সঠিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন না করার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে বিশ্ব কুস্তি সংস্থা পরিচালিত কোনও প্রতিযোগিতায় ভারতের কুস্তিগিরেরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে হলে, দেশের পতাকা ছাড়াই নামতে হবে তাঁদের। যার ফলে ভারতীয় কুস্তিগিররা ভারতীয় পতাকার তলায় আসন্ন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। আর এই ঘটনার পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লেখেন, বিশ্ব কুস্তি সংস্থা ভারতের কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করেছে এই খবর শুনে আমি অবাক।

এদিন মমতা টুইটারে লেখেন,” বিশ্ব কুস্তি সংস্থা ভারতের কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করেছে এই খবর শুনে আমি অবাক। গোটা দেশের কাছে এই ঘটনা লজ্জাজনক। কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের অহংকারী মনোভাব নিয়ে গোটা দেশের কুস্তিগিরদের টেনে নীচে নামিয়েছে। আমাদের কুস্তিগির বোনেদের উপর দাম্ভিক মানসিকতা দেখিয়েছে। নির্মম পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে আমাদের কুস্তিগির বোনেদের উপর নির্যাতন করেই চলেছে কেন্দ্র এবং বিজেপি। যাদের কোনও নৈতিক আদর্শ নেই, যারা আমাদের দেশের লড়াকু মেয়েদের পাশে দাঁড়ায় না, তাদের বিরুদ্ধে গোটা দেশের গর্জে ওঠা উচিত। শেষের সে দিন আর দূরে নেই।”

গত ২৭ এপ্রিল ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা (আইওএ) জাতীয় কুস্তির নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি অ্যাড-হক প্যানেল তৈরি করে দেয়। গঠন হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হত। বিশ্ব কুস্তি সংস্থার তরফেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে নির্বাচন না হলে ভারতের কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করা হবে। আর সেটাই হল। সূত্রের খবর, বুধবার রাতেই নাকি অ্যাড-হক প্যানেলকে নির্বাসনের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়।

কুস্তিকর্তা ব্রিজভুষণ শরণ সিং এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন আন্দোলনরত কুস্তিগির সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগাটরা। এরপর ভেঙে দেওয়া হয়েছে ভারতের জাতীয় কুস্তি সংস্থা। তার দায়িত্বে রয়েছে অ্যাড-হক প্যানেল। প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিং কুস্তিগিরদের শারীরিক নির্যাতনে অভিযুক্ত হওয়ার পরেই আগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। একাধিক বার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও কোনও না কোনও আদালতের নির্দেশে বার বার নির্বাচন পিছিয়ে দেয়। ১২ আগস্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটিও পিছিয়ে যায় পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে।

আরও পড়ুন:Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস

 

 

 

Previous articleচন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের জন্য ইসরোকে অভিনন্দন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার
Next articleযোগী রাজ্যের মতো বাংলায় এনকা.উন্টার চাইছেন শুভেন্দু, মোক্ষম জবাব কুণালের