তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খু.নের জের! CID-র জালে মূল চক্রী ফটিক-সহ ১  

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১০ অগাস্ট কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। পরে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।

তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি ঝাড়েশ্বর সাঁতরা (Jhareshwar Santra) ওরফে মৃত্যুঞ্জয়ের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফটিক পাহাড়িকে (Fatik Pahari) গ্রেফতার করল সিআইডি (CID)। ফটিক ছাড়াও আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বেশ কয়েকদিন ধরেই মোবাইল বন্ধ রেখে পালিয়ে বেরাচ্ছিল ফটিক। শুক্রবার গভীর রাতে দিঘা (Digha) থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি-র তদন্তকারী দল। পরে তাকে খড়গপুর (Kharagpur) নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১০ অগাস্ট কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। পরে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করেন সমিতির ১৫ জন তৃণমূল সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে খুন হয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। কেশিয়াড়ির ডাডরা গ্রামের এই বাসিন্দা দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে নছিপুরে গিয়েছিলেন। রাতে বাইকে করে ফিরছিলেন তিনি। আচমকাই ভসরাঘাটে ঢোকার সময়ে তাঁর উপর চড়াও হয় সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। তাঁকে লক্ষ্য করে তির ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পায়ে তির লাগায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি চোখ উপড়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। খুনের পর রাস্তার ধারে দেহ ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ঘটনার তদন্তে শুরুতে পুলিশ তদন্তে নামলেও পরে তদন্তভার সিআইডি-র হাতে যায়। এদিকে শনিবারই ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে পেশ করা হয়।

 

 

 

 

 

 

Previous articleযাদবপুর মাঙ্গে আজাদী: শিক্ষাঙ্গনে স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতার এক ‘কালেক্টিভ’ মুক্তাঞ্চল
Next articleগণপি.টুনি-ঘৃ.ণাভাষণ রোধে ‘নোডাল অফিসার’ নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে সুপ্রিম-রিপোর্ট তলব