চন্দ্রযানের সাফল্যে যাদবপুরের প্রাক্তনী, র‍্যা.গিং নিয়ে কী মত শুভদীপের পরিবারের

সুমন করাতি, হুগলি

চন্দ্রযান ৩ এর (Chandrayaan3)সাফল্যে জুড়েছে মানকুন্ডু গ্রিন পার্কের শুভদীপের (Subhadip Dey, Green Park Mankundu) নাম। শ্রীরামপুরের মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে যাদবপুরে ভর্তি হন তিনি। বাবা প্রবীর ও মা রীনা দে রেলকর্মী। একমাত্র ছেলে জয়েন্টে ৯৫ র‍্যাঙ্ক করার পর বাড়ির সকলের সম্মতিতে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন (Electronics and Telecommunications) নিয়ে এম টেক করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) থেকে। আইআইটি খড়গপুর (Kharagpur IIT) থেকে মাস্টার্স করেন। এরপর আইসিআরভি পরীক্ষায় সফল হয়ে বিজ্ঞানী হিসাবে বিক্রম সারাভাই স্পেস রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন ২০১৮ সালে, আর সেখান থেকে সোজা ইসরোয় (ISRO)। স্বাভাবিক ভাবেই আজ ভারতের চন্দ্র জয়ের সাফল্যে বারবার আলোচনায় উঠে আসছে বাংলার ছেলেটার নামও। চন্দ্রযান ৩ মিশনে (Mission Chandrayaan 3) অন্যান্য গর্বিত বাঙালীর সঙ্গে শুভদীপও রয়েছেন। ডপলার ওয়েদার র‍্যাডার (Doppler Weather Radar) নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। শুভদীপ অনেকটা সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ছিলেন। সেই প্রতিষ্ঠান নিয়ে যখন এত কথা হচ্ছে, কীভাবে বিষয়টা দেখছেন তাঁর পরিবার?

ইসরোর বিজ্ঞানীর মা রীনা দে বলেন, ” যাদবপুরের ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। যাদবপুর সম্বন্ধে আমার ধারণা খারাপ নয়। আমি নিজে গেছি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেছি। কখনও এরকম দেখিনি। ওদের মধ্যে বেশ ইউনিটি ছিল। রাত জেগে পড়াশোনা করত সবাই এমনকি সিনিয়র দাদারা গাইড করত। জুনিয়রদের সমস্যা হলে সিনিয়ররা সাহায্য করত। আমার ছেলে হোস্টেলে থাকত না পিজিতে থাকত। কিন্তু কখনও এইরকম অভিযোগ পাইনি। ” পাশাপাশি তিনি বলেন অবিলম্বে র‍্যাগিং বন্ধ করা উচিত। মেধাবী হলে তবেই যাদবপুরে সুযোগ মেলে। তাই প্রতিভা যাতে নষ্ট না হয় সেই দিকে সকলের নজর দেওয়া উচিত। চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য নিয়ে চিন্তায় ছিলেন কি? গর্বিত বাবা বলছেন, “আমাদের বিশ্বাস ছিল এবার কোনও সমস্যা হবে না। ছেলে সফট ল্যান্ডিং এর কথা বলেছিল। আমাদের টেনশন ছিল কিন্তু সব ভালই হয়েছে।” প্রবীর দে বলেন শুভদীপ কখনও র‍্যাগিং নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু এই ঘটনা হওয়া উচিত নয়।

 

Previous articleখোদ বিজেপি সাংসদের বাড়িতে ম.র্মান্তিক পরিণতি ১০ বছরের কিশোরের! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
Next articleলিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা নিয়ে অদ্ভূত যুক্তি ইডির!