Sunday, November 9, 2025

দত্তপুকুরে বি.স্ফোরণের জের! দুর্ঘট.নাস্থল পরিদর্শন NIA আধিকারিকদের

Date:

Share post:

দত্তপুকুরের (Duttapukur) বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এমন আবহেই সোমবার দুপুর ১.৪০ নাগাদ দত্তপুকুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এনআইএ-র (NIA) দুই আধিকারিক। স্থানীয়দের পাশাপাশি কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। এরপর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সেখান থেকে চলে যান দুই আধিকারিক। এদিন মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে খবর। তবে তদন্তকারী দল আসার পরই চরম সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, জোর করে রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। রাজ্যে তদন্তকারী দল থাকলেও কেন যে কোনও ঘটনাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠানো হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

পাশাপাশি সোমবার ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এফআইআরে চার জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেরামত আলি, রবিউল আলি, শামসুল আলি মৃত। বাকি এক জন রমজান আলিকে আমরা খুঁজছি। তিনি আইএসএফের ব্লক পর্যায়ের নেতা। পুলিশ সুপার আরও জানান, গত আড়াই-তিন মাসের মধ্যে এই এলাকায় অনেক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার পরও এই ঘটনা ঘটেছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি তদন্ত চলছে।

রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত (Barasat) লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোষপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। পাশাপাশি আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে খবর। স্থানীয়দের দাবি, কেরামত এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিস্ফোরণে মৃত বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলি ও তাঁর ছেলের। অভিযোগ, বেআইনি বাজি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত। তা ফেটেই এমন বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। তবে এই দুর্ঘটনার পিছনে যে ISF-র হাত রয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

তবে এখনই দত্তপুকুরের ঘটনার তদন্তভার সরকারিভাবে হাতে নেয়নি এনআইএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় যে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রনি শেখ (১৬)। জিরাথ শেখ (৫০), কলেজ শেখ(৪৫), আন্দাজ শেখ (১৯), মাসুম শেখ (১৮), সাহাবাজ আলম (২৪), কেরামত আলি (৪৫), রবিউল আলি (২২), ও সামসের আলি (৫২)। এদের মধ্যে সাহাবাজ আলম ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল: রাজ্যজুড়ে শোকাহত পরিবারগুলির ঘরে দলের জনপ্রতিনিধিরা 

এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও আত্মহত্যা, কোথাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু— ভয় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম...

বাংলাভাষায় ১০ কোটিও খরচ নয়! বাঙালিবিদ্বেষী বিজেপির রবীন্দ্র-বঙ্কিম ভাগে তোপ গণমঞ্চের

বিজেপি আদতে বাঙালি বিদ্বেষী, তা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত। সেই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে দেশ বাঁচাও...

১১ বলেই অর্ধশতরান! রঞ্জি ট্রফিতে বিশ্বরেকর্ড মেঘালয়ের ব্যাটারের

রঞ্জি ট্রফির( Ranji Trophy) ইতিহাসে বিশ্ব রেকর্ডে(World Record) তৈরি করলেন মেঘালয়ের ব্যাটসম্যান আশিষ কুমার চৌধুরী(Asis Kumar Chowdhury)। মোট...

পশ্চিমবঙ্গই সেরা পারফর্মার: এসআইআর-এ রাজ্যের সাফল্যে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন

রাজনৈতিক সংঘাত ও প্রশাসনিক টানাপোড়েনের মধ্যেও এসআইআর সংক্রান্ত সামগ্রিক কাজ এবং এনুমারেশন ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে সবার আগে পশ্চিমবঙ্গ।...