টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে র‌্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস, ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে জোরালো সওয়াল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ছাত্র-যুবদের দায়িত্ব নিতে হবে। র‌্যাগিং মুক্ত  ক্যাম্পাস ও বিজেপি মুক্ত ভারত তৈরির শপথ নিতে হবে

প্রতি বছরই ২৮ আগস্ট দিনটিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করে শাসকদল। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। সোমবার সকালেই X প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতিতে ছাত্র সমাজের ভূমিকা ও সামগ্রিকভাবে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ায় উৎসাহ দিয়েছেন তাঁরা। দিনভর ধর্মতলার মেয়ো রোডে অনুষ্ঠান রয়েছে।

তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নি ঘোষ বলেন, শিক্ষার প্রগতি, সংঘবদ্ধ জীবন, দেশপ্রেম শুধু ট্যাগ লাইন নয়, ছাত্র জীবনের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। যারা ভোটের সময় এসে প্রতিশ্রুতি দেয়। বিজেপি মুখে বলে এখন অখন্ড ভারত, কিন্তু তারাই বাংলা ভাগ করতে চায়। গরিব আরও গরিব হইচর। প্রধান মোদি ইসরোর গিয়ে বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব নিচ্ছে। ২০২৪ কুৎসা, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ছাত্র-যুবদের দায়িত্ব নিতে হবে। র‌্যাগিং মুক্ত  ক্যাম্পাস ও বিজেপি মুক্ত ভারত তৈরির শপথ নিতে হবে।

ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে অসীমা পাত্র বলেন, তৃণমূল ভারতবর্ষের একমাত্র দল যারা ছাত্র সমাবেশ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দেশের আরও কোনও দলের নেতা ছাত্র সমাজকে সম্মান দেয় না। এ কোন ভারতবর্ষ। আমি গ্রামে রাজনীতি করি। এখানে গ্রামের অনেক ছাত্রছাত্রী হাজির আছেন। গ্রামের অর্থনীতি শেষ করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। লজ্জা করে না। আর প্রতিবাদ করলেই ইডি-সিবিআই পাঠিয়ে দিচ্ছে। বাংলা কারও কাছে মাথানত করে না। আমরা ভিক্ষা নয়, প্রাপ্য চাইছি। ২০২৪-এর ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে।

বীরবাহা হাঁসদার কন্ঠে এদিন ফের শোনা গেল আদিবাসীদের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা।তিনি বলেন, ছাত্ররাই দেশ গড়ার কারিগর। আদিবাসীদের প্রতি কেন্দ্র যে বঞ্চনা করছে, তার বিরুদ্ধে এই ছাত্র সমাজকেই গর্জে উঠতে হবে। মানুষকে যদি বাঁচতে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই করার শপথ নিতে হবে। নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে হবে।

মন্ত্রী  চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,শিক্ষার প্রগতি, সংঘবদ্ধ জীবন, দেশপ্রেম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীক্ষা নিয়েছেন। এখন ছাত্র সমাজকে দীক্ষা দিচ্ছে। ছাত্র রাজনীতি করে উঠে আসলে তারা কতদূর যেতে পারে, তার প্রমাণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সমাজের উন্নতি হয়, সকলস্তরের মানুষকে নিয়ে চলতে হবে। বিজেপি মহিলাদের, দলিতদের ঘৃণা করে। দেশের বিভাজন করে। এর জবাব দিতে হবে। ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের অভিজ্ঞতা ও ছাত্রদের উদ্দাম, উন্মাদনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন ভারত গড়তে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যাদবপুরকাণ্ডে বিরোধীদের তুলোধনা করেন। বলেন,বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এক হয়েছে। তৃণমূলের সমালোচনা করছে। SFI-DYFI নেতারা বড় বড় কথা বলছে। স্বাধীনতা, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্রের কথা বলছে। যাদবপুরে যা করছে, সেটা কীসের গণতন্ত্র? মদ, গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে ক্যাম্পাসে। সিপিএম কোনায় চলে গেছে। ৩৪ বছর শাসনের পর শূন্য হয়ে গেছে। বাংলাকে শেষ করে দেওয়া সিপিএম আর ফিরবে না।অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদি ইসরোর চন্দ্রযান সাফল্যের কৃতিত্ব নিচ্ছে। উনি কাজে থাকবেন না। এই বিজেপিকে ২০২৪ সালে দেশ থেকে ধূলিস্যাত করতে হবে।

পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে ছাত্র সমাজকে লড়াই করতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। শুধু যাদবপুর নয়, গোটা ভারতবর্ষে ragging হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে মুসলিম ছেলেকে নিপীড়িত করছে। এই র‌্যাগিং-এর দায় মোদিকে নিতে হবে। দলিতদের উপর যে র‌্যাগিং করছে তার দায় বিজেপিকে নিতে হবে।

আমার INDIA জোটের বৈঠকে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক। ভারতবর্ষের মসনদে সবচেয়ে বড় raggingবাজকে একমাত্র উৎখাত করতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের এখানে ragging হলে সরকার, প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু অন্য রাজ্যে তা হয়। সেখানে পক্ষপাতিত্ব হয়।একটা সময়ে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই করে বলেছিলাম সিপিএম হটাও বাংলা বাঁচাও। এবার ছাত্রদের দায়িত্ব নিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বলতে হবে বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও।

 

 

Previous articleদত্তপুকুরকাণ্ডের ঘটনায় ‘রাজনৈতিক রং’ লাগাতে জোড়া মামলা বিজেপির!
Next articleবোর.খার পর আ.বায়া! স্কুলে মু.সলিম ছাত্রীদের নয়া ‘পোশাক ফতোয়া’ ফ্রান্স সরকারের