এসএমএসে নিয়োগ মামলায় দুই মামলাকারীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

এসএমএস-এর মাধ্যমে কেন নিয়োগ করা হল, তার তদন্ত প্রয়োজন বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের

শিক্ষক নিয়োগ থেকে পোস্টিং, সব ক্ষেত্রেই বেনিয়মের অভিযোগে একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগ সংক্রান্ত তেমন একটি মামলায় অভিযোগ উঠেছিল এসএমএস-এর মাধ্যমে নিয়োগ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগপত্রের কোনও হার্ড কপি না দিয়ে কীভাবে শুধুমাত্র এসএমএস পাঠিয়েই যোগদানের কথা বলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আদালতে। আজ, বুধবার সেই মামলায় এসএসসি-র বক্তব্য শোনে আদালত। এরপরই দুই মামলাকারীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এক এক সপ্তাহের মধ্যে উভয়কেই সুপারিশ দিয়ে চাকরি দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসএমএস-এর মাধ্যমে কেন নিয়োগ করা হল, তার তদন্ত প্রয়োজন বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের।

সালমা সুলতানা এবং রিক্তা চট্টোপাধ্যায় নামে দুই চাকরি প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এসএসসি-র নবম-দশমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সালমার দাবি ছিল, এসএলএসটি-র নিয়োগে তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ২০৮। তারপরও চাকরি পাননি তিনি। পরে আদালত নির্দেশ দেয় সালমাকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকতে হবে এসএসসি-কে। অভিযোগ, তাঁকে কাউন্সেলিং-এর জন্য ডাকা হয়নি, কিন্তু এসএমএস-এর মাধ্যমে নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

বিচারপতি বসু জানতে চেয়েছিলেন, এসএমএস-এ নিয়োগপত্র দেওয়া হল কেন? রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। বুধবার আদালতে রিপোর্ট দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, সালমা ও রিক্তার মতো এমন অনেক চাকরি প্রার্থীকেই এসএমএস-এর মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০০ অধিক প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে এভাবেই। এমনকী অনেক শিক্ষক চাকরিও করছেন। অনেককেই দেওয়া হয়নি হার্ড কপি।

 

 

Previous articleজলসা থেকে মাতশ্রী: মমতার রাখি বাঁধনে বিগ বি থেকে উদ্ধব
Next articleবঞ্চনার জবাব দেবেন শ্রমিকরাই, কেন্দ্রকে আ.ক্রমণ করে ধূপগুড়ির প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল