মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আ.ক্রমণ রাহুলের, বিজেপিকে তুলো.ধনা I.N.D.I.A. নেতৃত্বের

দেশের ৬০ শতাংশ জনতার প্রতিনিধিত্ব করছে ইন্ডিয়া।“ আদানির সংস্থার মাধ্যমে ১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ ফের তোলেন রাহুল।

সারাদেশের নজর ছিল I.N.D.I.A. জোটের তৃতীয় বৈঠকে। আর সেই বৈঠক শেষে জোটের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী নেতা-নেত্রীরা। মোদি সরকারকে নিশানা করে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) থেকে লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav), উদ্ধব ঠাকরে থেকে সীতারাম ইয়েচুরি তোপ দাগেন। শুক্রবার, ফের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আদানির সম্পর্ক নিয়ে আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

এদিন রাহুল বলেন, “আমরা একজোট থাকলে, বিজেপির জেতা অসম্ভব।“ এরপরেই আদানি ইস্যুতে মোদিকে নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ। প্রশ্ন তোলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও আদানি কীসের এত ঘনিষ্ঠতা? প্রধানমন্ত্রী-আদানির এই অশুভ আঁতাঁতের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়াকে লড়তে হবে। দেশের ৬০ শতাংশ জনতার প্রতিনিধিত্ব করছে ইন্ডিয়া।“ আদানির সংস্থার মাধ্যমে ১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ ফের তোলেন রাহুল।

শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ইন্ডিয়া জোট দেখে বিজেপির পায়ের তলার মাটি কেঁপে গিয়েছে। মোদিকে দিল্লি থেকে হঠানোই তাঁদের মূল লক্ষ্য।

আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব বলেন, এই দেশ সুরক্ষিত নয়। রাজ্যে রাজ্যে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা হবে। নজর ঘোরাতে এক দেশ এক ভোট নীতির ধুঁয়ো তুলছে মোদি-শাহ। লালুর কথায়, “লাগাতর লড়তে লড়তে আজ আমরা দেশকে বাঁচাতে বাধ্য হয়েছি একজোট হতে। প্রধানমন্ত্রী আজও মণিপুরে পা রাখেননি। মোদিকে হটানোর সংকল্প নিয়েছে ইন্ডিয়া। মোদিকে রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু সেসবের ধারে কাছেও তিনি যাননি।“

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সংবাদমাধ্যমেকে আশ্বাস দেন, “আমরা ক্ষমতায় এলো আপনাদের স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আপনারা যে বুঝবেন, সেটা প্রকাশ করতে পারবেন“। অর্থাৎ মোদি সরকারের আমলে নাগরিক স্বাধীনতার উপর খবরদারিকে নিশানা করেন নীতিশ।

 

 

 

 

 

Previous articleএশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে কী বললেন কোহলি?
Next articleচাকরি খুইয়ে বেকার! বিহারের বাড়িতেই চরম কষ্টে দিন কাটছে ‘বিস্ময় বালক’ তথাগতর