চাকরি খুইয়ে বেকার! বিহারের বাড়িতেই চরম কষ্টে দিন কাটছে ‘বিস্ময় বালক’ তথাগতর

তথাগত আরও জানান, ২০১১ সালে তাঁর জ্বর হয়েছিল। তারপরই তাঁর শরীরে অ্যালার্জি হয়। দু’বছর ধরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তিনি ২০১৩ সালে চার বছরের ছুটি নিয়ে পটনা চলে যান। আর তারপরই তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বম্বে আইআইটি।

এক সময়ের ‘বিস্ময় বালক’ (Wonder Boy) বর্তমানে বেকার। বর্তমানে তাঁর বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। হ্যাঁ, বিহারের (Bihar) বাসিন্দা তথাগত অবতার তুলসীর (Tathagata Avatar Tulsi) কথা বলা হচ্ছে। বিহারে সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া এই পদার্থবিদ পরিচিত ভারতের ‘বিস্ময় বালক’ হিসাবে বেশি পরিচিত। তথাগত খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছন খুব কম বয়সে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT)-র কনিষ্ঠতম অধ্যাপক হিসাবেও তাঁর নাম সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। মাত্র ২২ বছর বয়সেই আইআইটি বম্বের অধ্যাপক হন তিনি। এছাড়াও মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি স্কুলের গণ্ডি পেরোন তিনি। ১১ বছর বয়সেই তথাগত পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন। বয়স ১২ পেরোতে না পেরোতেই পাটনা সায়েন্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন।

স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষে তথাগত ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে (আইআইএসসি) ভর্তি হন। ২০০৯ সালে তিনি আইআইএসসি থেকে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শেষ করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২১। ২০১০ সালের জুলাইয়ে বম্বে আইআইটি থেকে ডাক পান তথাগত। চুক্তির ভিত্তি সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। বম্বে আইআইটিতে গবেষণারত পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তথাগতর হাতে। এরপর সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার ৯ বছর পর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় ‘বিস্ময় বালক’কে। তবে আইআইটি থেকে চাকরি যাওয়ার পর তিনি আর চাকরি পাননি। মুম্বাইও ফেরেননি। পাটনায় পৈতৃক বাড়িতে ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন তথাগত।

২০০১ সালে তথাগত প্রথম সংবাদপত্রের শিরোনামে আসেন। তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে একটি নোবেল বিজয়ী সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য জার্মানিতে পাঠিয়েছিল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার কম্পিউটার বিজ্ঞানীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি গবেষণাপত্র লিখেছিলেন তথাগত। আর সেই গবেষণাপত্র কখনও প্রকাশিত হয়নি। তথাগতকে এক সময় এশিয়ার সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছিল।

তথাগত আরও জানান, ২০১১ সালে তাঁর জ্বর হয়েছিল। তারপরই তাঁর শরীরে অ্যালার্জি হয়। দু’বছর ধরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তিনি ২০১৩ সালে চার বছরের ছুটি নিয়ে পটনা চলে যান। আর তারপরই তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বম্বে আইআইটি। এতদিন ছুটি নেওয়ার কারণেই এমন পরিণতি তাঁর। তবে তথাগত জানিয়েছেন, আগামীদিনে আইনের রাস্তায় হাটতে চলেছেন তিনি। যেভাবেই হোক তাঁকে যেন তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয় এমনটাই আবেদন বিস্ময় বালকের।

 

 

 

 

 

 

 

Previous articleমোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আ.ক্রমণ রাহুলের, বিজেপিকে তুলো.ধনা I.N.D.I.A. নেতৃত্বের
Next article‘নির্লজ্জ সেলিম-অধীর আসলে বিজেপির দালাল’! পদক্ষেপ নিক দিল্লি নেতৃত্ব, দাবি কুণালের