আগামিকাল ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বি, বড় ম‍্যাচে নামার আগে প্রতিপক্ষকে সমীহ কুয়াদ্রাতের

এদিকে ডুরান্ড কাপে ট্রফি জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না লাল-হলুদের বোরজা হেরেরা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বলেন,"ফাইনাল হল ফাইনাল।

ছবি : দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়

আগামিকাল ডুরান্ড কাপে মহারণ। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মহা ডার্বি। ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। টানা আট ম‍্যাচে ডার্বি হারের পর চলতি ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের ম‍্যাচে জয়ের মুখ দেখে লাল-হলুদ। কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে প্রায় দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর ডার্বি জয় লাল-হলুদের। রবিবার ফের ডার্বি। তবে রবিবারের বড় ম‍্যাচে নামার আগে সর্তক লাল-হলুদ কোচ। নিজেদের দল তৈরি হলেও স্পেনের কোচ অবশ্য মেনে নিয়েছেন, এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। কুয়াদ্রাতের কথায় মোহনবাগান ডার্বি হারের পর অনেক বদলে গিয়েছে। ডুরান্ড এবং এএফসি কাপে অনেকগুলি ম্যাচ খেলে পরিণত হয়েছে মোহনবাগান।

এই নিয়ে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুয়াদ্রাত বলেন,”ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে যে মোহনবাগানকে দেখেছিলাম এই দল তার থেকে অনেক আলাদা। ওই ম্যাচের পর ওরা অনেক ম্যাচ খেলেছে। ডুরান্ড, এএফসি কাপের ম্যাচ খেলেছে।বাংলাদেশ, নেপালের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েছে। এখানে দেশের সেরা মুম্বই সিটিকে হারিয়েছে। দলের কৌশলও অনেক বদলে গিয়েছে। ওদের কোচ দলের মানসিকতা বদলে দিতে চাইছে। শারীরিক ভাবেও বেশ ফিট ওরা। তবে অনেক ম্যাচেই ওরা খুব কম ব্যবধানে জিতেছে। কখনও একটা পেনাল্টি থেকে খেলার মোড় ঘুরে গিয়েছে। তবে ওদের খেলা ভোঁতা করার জন্যে আমাদের হাতেও অস্ত্র রয়েছে।”

তবে মোহনবাগান খেলায় পরিণত হলেও, ইস্টবেঙ্গলও যে লড়াইয়ে তৈরি, তা জানিয়ে দিতে ভুললেন না লাল-হলুদ কোচ। কুয়াদ্রাতের কথায়,” সব খেলোয়াড় সমান জায়গায় নেই। ক্লেটন সিলভা এখনও পুরোপুরি তৈরি নয়। কারণ ও বাকিদের থেকে দেরি করে এসেছে। পার্দোও আগের ডার্বিতে খেলেনি। আমরা একটা নতুন প্রোজেক্টের মধ্যে রয়েছি। সবাইকে আসল মরশুমের আগে তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। ভবিষ্যতের জন্যেও একটা রূপরেখা তৈরি করে রাখতে হবে। তবে আমারা এই ম‍্যাচটার জন‍্য তৈরি। আমরা আমাদের সেরা পারফরম্যান্সই দেব।”

চলতি ডুরান্ড কাপে রেফারিং নিয়ে একটি প্রশ্ন উঠছে। এমনকি গতকাল এই নিয়ে সরব হন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও। ডার্বির আগে মোহনবাগানের দু’টি ম্যাচে পেনাল্টি নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। এই নিয়েও প্রশ্ন যায় কুয়াদ্রাতের কাছে। যা নিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেন,” রেফারিদের নিয়োগ করা তো আমাদের হাতে নেই। আমরা কোচ হিসাবে নিজেদের কাজ করার চেষ্টা করি। ওদের কাজ ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ রাখা। তবে কিছু বলতে হলে বলব, আইএসএলে অনেক ম্যাচেই বিদেশি রেফারি দেখেছি। সাধারণত বিদেশি রেফারিরা এলে এখানকার চাপের সঙ্গে সড়গড় থাকে না। কিন্তু দেশি রেফারিদের খেলালে এখানকার রেফারিদের মান বাড়বে। তবে আধুনিক সময়ে অনেক ক্যামেরার মধ্যে খেলা হয়। তাই এখানে সেই প্রযুক্তি থাকলে ভাল হত।”

এদিকে ডুরান্ড কাপে ট্রফি জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না লাল-হলুদের বোরজা হেরেরা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বলেন,”ফাইনাল হল ফাইনাল। আমরা ট্রফি জিততে চাই। ম্যাচে সেরাটা দিতে চাই। ডার্বি নাকি অন্য কোনও ম্যাচ সে সব নিয়ে ভাবছিই না। আমাদের লক্ষ্য ট্রফি জেতা। প্রথম ডার্বিতে খেলে বুঝতে পেরেছি এই ম্যাচ নিয়ে কতটা উত্তেজনা থাকে। তবে আমরা মোটেই চাপে নেই। বরং ট্রফি আমাদের পাখির চোখ।”

আরও পড়ুন:মহারাজের চরিত্রে আয়ুষ্মান, সৌরভের বায়োপিকের শুটিং শুরু ডিসেম্বরে : সূত্র

 

 

 

 

Previous articleআপাতত ইস্তফা দিচ্ছেন না অভিমানি তারক, মেয়রের ফোনেই কি বরফ গলেছে?
Next articleমোদিরাজ্যে কাজ করতে যাওয়াই কাল! ফের ম.র্মান্তিক পরিণতি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের