Thursday, August 21, 2025

জাতি বি*দ্বেষ মামলায় বিশ্বভারতীর ইন্টারন্যাল অডিট অফিসারকে গ্রেফতারির নির্দেশ আদালতের

Date:

Share post:

ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিশ্বভারতীর ইন্টারন্যাল অডিট অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। ইন্টারন্যাল অডিট অফিসার প্রশান্ত ঘোষকে একমাসের মধ্যে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশকে ঘিরে খুব স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে।

জাতি বিদ্বেষ মামলায় গত বৃহস্পতিবার সিউড়ি জেলা আদালতে জমা পড়ে চার্জশিট। ১৪৪ পাতার ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ ৪ জনের। তাঁদের মধ্যে বিদ্যুৎ-সহ ৩ জনের রক্ষাকবচ থাকলেও, প্রশান্ত ঘোষের কোনও রক্ষাকবচ ছিল না। তাই শনিবার শুনানিতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। প্রশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর করেই প্রশান্ত ঘোষকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারক। একমাসের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আদালত পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছে। এছাড়াও আদালতের কাছে প্রশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করার জন্যও আর্জি জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই বিচারক প্রশান্ত ঘোষকে এক মাসের মধ্যে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও প্রশান্ত ঘোষ ছাড়াও ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ও তন্ময় নাগের।জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন প্রশান্ত মেশরাম নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত।

প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, তাঁর পদোন্নতি আটকাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, তিনি তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণে, তাঁকে বিভিন্ন রকমের অপমানজনক কথাও বলেছেন উপাচার্য-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট চার আধিকারিক। সেই নিয়েই অভিযোগ জানান তিনি।যদিও চার্জশিটে নাম থাকা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ তিনজন ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছেন। সেই কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কোনওরকম পদক্ষেপ করতে পারছে না পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের অনেকেই তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদও জানিয়েছেন।

 

 

 

 

 

spot_img

Related articles

বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ ভারতে নেই: বাংলাদেশের প্রশ্নের উত্তর ঘুরিয়ে দিল বিদেশ মন্ত্রক

ভারতেই লুকিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লিগের আরও নেতা মন্ত্রীদের লুকিয়ে থাকার সন্দেহও প্রকাশ করেছে...

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...