৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠক ডাকলেন শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত তুঙ্গে। মঙ্গলবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই শিক্ষামন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যের ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টোয় বিকাশ ভবনে ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে করবেন বলে সূত্রের খবর।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য ও অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ সম্প্রতি একের পর এক নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এমনকী বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যপাল একথাও জানিয়েছেন, যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন তিনিই। আনন্দ বোস আইন বিরুদ্ধ কাজ করছেন বলে অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ব্রাত্য বসু।

শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এখন আমাদের এখানে বসে রয়েছেন এক জন মাননীয় রাজ্যপাল। তিনি বলছেন, আমি স্কুল দেখব। আমি কলেজ দেখব। আমি বিশ্ববিদ্যালয় দেখব। আমি বলি, আইন মেনে চলুন। আমার কোনও আপত্তি নেই।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সাফ জানান, “আমরা ইলেক্টেড, আপনি কনভেনশনাল নমিনেটেড পোস্টে। উনি কী ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও বড়? সে উনি বড় হতেই পারেন।” এর পরেই মমতা তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “এরকম যদি চলতে থাকে, যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর কথা মতো চলে, তা হলে আমি বলে রাখছি আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। আপনি যদি মনে করেন, আমি চিফ মিনিস্টারের থেকেও বড়! কিন্তু মনে রাখবেন সমস্ত পলিসি ঠিক করে রাজ্য সরকার, আপনি নন। আপনি যদি কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন, আর কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আপনার কথায় চলে, আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। কারণ আমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে দেব না।’’ ওই সময়ই শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্রাত্যকে বলব কলেজের প্রিন্সিপাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে মিটিং করুন। প্রাক্তন উপাচার্যরাও থাকবেন। আপনারা আগামিদিনেও থাকবেন। কে কী করবেন, আমি দেখছি।” এর পরই ৮ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠকে ডাকেন ব্রাত্য। ওই দিনই রেজিস্ট্রাররাও নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন।

আরও পড়ুন- শিক্ষকতায় বিশেষ অবদান, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেলেন বাংলার একাধিক শিক্ষক

 

Previous articleভারতের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্স, নেপালের তিন ক্রিকেটারকে পুরস্কার বিরাটদের
Next articleসংসদের বিশেষ অধিবেশনে একসুর I.N.D.I.A.-র: সিদ্ধান্ত জোটের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের বৈঠকে