ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্র.তারণার অভিযোগ! নুসরতের পর আরও এক অভিনেত্রীকে তলব ইডির

ইডির সমন প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে রূপলেখা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি এবং রাকেশ অন্য একটি সংস্থার ডিরেক্টর। তাঁর সঙ্গে এই মুহূর্তে ওই সংস্থার কোনও যোগাযোগই নেই।

সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan) তলব করার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরএক অভিনেত্রীকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর নাম রূপলেখা মিত্র (Ruplekha Mitra)। আগেই মঙ্গলবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) বসিরহাটের সাংসদকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। নুসরতের সঙ্গে সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংকে (Rakesh Singh) তলব করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাকেশ এবং নুসরতের পাশাপাশি ওই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখাও। আর সেকারণেই তাঁকেও আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছে।

তবে, ইডির সমন প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে রূপলেখা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি এবং রাকেশ অন্য একটি সংস্থার ডিরেক্টর। তাঁর সঙ্গে এই মুহূর্তে ওই সংস্থার কোনও যোগাযোগই নেই। তবে তিনি ইডিকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। রূপলেখা জানান, ২০১১ সালে ওই সংস্থা তৈরি হয়েছিল। সংস্থা মূলত জমি সংক্রান্ত কাজ করত। তবে তাঁর দাবি, পরিষ্কার করে তিনিও জানেন না কী কী বিষয়ে কাজ হত সেখানে। নুসরতের সঙ্গে রূপলেখার কি কথা হয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে রূপলেখা বললেন, সংস্থায় কে কে ছিলেন, তা আমি জানি না। নুসরতকে এক দিনও দেখিনি। নুসরত যে সেই সংস্থার সঙ্গে ছিলেন, তা-ও রূপলেখার জানা ছিল না বলে দাবি।

রূপলেখা আরও জানান, ২০১১ সালে সংস্থাটি তৈরি হওয়ার সময়ে ডিরেক্টর পদে যোগ দেন তিনি। যদিও ওই সংস্থায় তাঁর কোনও রকম সাইনিং অথরিটি ছিল না বলেই দাবি করলেন রূপলেখা অর্থাৎ, সংস্থার তরফে কোনও রকম স্বাক্ষর করার অধিকার তাঁর ছিল না বলেই দাবি রূপলেখার। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে আমি ইস্তফা দিয়ে ওই সংস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি।

সোমবার ইডির দফতরে গিয়ে নুসরত তথা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান একাধিক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। ওই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের দাবি, সমবায়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য টাকা জমা দিলেও ফ্ল্যাট পাননি তাঁরা। শঙ্কুদেব ওই অভিযোগকারীদের নিয়ে গড়িয়াহাট থানা এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশ এবং ইডির গোয়েন্দারা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপরই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরত জানান, অভিযোগ যখন করা হয়েছে, তার অনেক আগেই তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধও করে দিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

Previous articleহোমওয়ার্ক করেই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ বদলে ‘ভারত’ বানানোর খেলায় মেতেছে মোদি সরকার
Next articleটানা বৃষ্টিতেও ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী