“যু.দ্ধে জিতলেও গায়ে পাঁক মাখতে হবে”! বাবুলের পোস্টে কীসের ইঙ্গিত?

রাজভবনে (Rajbhwan) আটকে রাজ্য মন্ত্রীসভার (Cabinet Ministry) রদবদলের বিল। আর এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রীসভার সদস্য বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। আগেভাগেই জানা যাচ্ছিল মন্ত্রীসভার রদবদলের কারণে পর্যটন দফতর হাতছাড়া হতে চলেছে বাবুল সুপ্রিয়ের। তবে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাবুল নিজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছিলেন, তিনি আর পর্যটন দফতরে (Tourism Department) থাকতে চাইছেন না।

এদিকে এদিন সন্ধেয় বাবুলের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন বাবুল তাঁর ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি দু’টি বিষয় উল্লেখ করেন। তার মধ্যে একটি যেমন শূকরের সঙ্গে লড়তে যেও না। কারণ, যুদ্ধে জিতলেও গায়ে পাঁক মাখতে হবে। অন্যটি হল নির্বোধের সঙ্গে তর্ক কোরো না। কারণ, প্রথমে সে তোমায় তার স্তরে টেনে নামাবে। তার পরে তার নীচতার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে তোমায় হারিয়ে দেবে। তবে এরপরই আশ্চর্যজনকভাবে বাবুল ওয়াকওভারের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, জীবনের কিছু কিছু যুদ্ধে ওয়াক ওভার দিতে হয়। যেখানে তুমি হেরো লোকটাকে জিতিয়ে দিয়ে নির্জনতা এবং মর্যাদার দিকে হেঁটে চলে যেতে পারো। তবে এই পোস্টে কারও নাম নেননি তিনি।

তবে নবান্ন সূত্রের খবর, বাবুল পর্যটন দফতরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে তাঁর একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বাবুল ঘরোয়া আলোচনায় অনেককে বলেছেন, ইন্দ্রনীল তাঁর দফতরের কাজকর্ম নিয়ে দিদির কান ভারী করছে। আবার সে সব অস্বীকার করছেন ইন্দ্রনীল সেন। এরই মধ্যে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন নিগমে ইন্দ্রনীল সেনকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা মন্ত্রীসভায় যে রদবদল করতে চলেছেন, তাতে পর্যটন দফতর হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে বাবুলের। তবে সেই দফতরের দায়িত্ব ইন্দ্রনীল পাবেন কিনা সেটা অবশ্যই সময় বলবে। তবে বাবুল পর্যটনে না থাকলে ওই দফতর কার হাতে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতেই তা পরিষ্কার হবে।

 

 

 

 

 

 

Previous articleগণধ.র্ষণ মামলায় দিতেই হবে ক্ষতিপূরণ! কলকাতার দুই থানার ওসিকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
Next articleতথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেও মিলল না উত্তর! মণিপুর ইস্যুতে মুখে কুলুপ মোদি সরকারের