ফের যোগীরাজ্যে কিশোরীকে গণধ.র্ষণ! পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ম.র্মান্তিক পরিণতি অ.ভিযুক্তর

File picture

মুখেই শুধু নারী নিরাপত্তার (Women Safety) বুলি। আসলে কাজের বেলায় নারীদের প্রতি সম্মান ও নিরাপত্তার আসল ছবি সামনে এল উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)। ফের যোগীরাজ্যে গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবার দোকান থেকে ফেরার সময় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের আগরার (Agra) এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসে। বুধবার ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধেয় বাবার দোকান থেকে ফিরছিল ওই কিশোরী। রাস্তার একটি ফাঁকা জায়গায় এক বাইকচালক তার পথ আটকে দাঁড়ায়। তবে সে একা নয়, অটো নিয়ে কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়েছিল আরও দু’জন। এরপরই কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বাইকচালক। তারপর অটোয় থাকা দুজনের হাতে তুলে দেয় কিশোরীকে। নির্যাতিতার অভিযোগ, এরপরই তাঁকে একটি ইটভাটায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত তিন জন। সেখানে তাঁকে গণধর্ষণ অভিযুক্তরা চম্পট দেয়। এদিকে মঙ্গলবার সকালে ইটভাটার এক কর্মী ওই কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করে।

এরপর কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে যোগীর মুখ বাঁচাতে তদন্তে নামে পুলিশ। ধীরে ধীরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে রূপেশ, করুয়া এবং জগদীশ নামে তিন অভিযুক্ত। অভিযুক্তেরা সকলেই শামসাবাদ গ্রামের বাসিন্দা বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। এদিকে শামসাবাদ গ্রাম থেকে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই আর এক অভিযুক্ত চম্পট দেয়। অন্যদিকে, ধরা পড়ার ভয়ে আর এক অভিযুক্ত জগদীশ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ থেকে জগদীশের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

এদিকে আগরার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অটোচালক রূপেশকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় এবং তাঁকে জেরা করেই জগদীশ এবং করুয়ার খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে গা ঢাকা দেয় করুয়া। অন্যদিকে, গ্রেফতারি এড়াতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় জগদীশ।

 

 

 

 

 

 

Previous articleমহাবীরের নামে আমরা বর্ধমান জেলা বানিয়েছি: জৈন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে মমতা
Next articleকিংস কাপে ইরাকের বিরুদ্ধে লড়াই করেও হার ভারতের