সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকের ডাক! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, “বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য ১৭ তারিখ ৫ টার পর যেহেতু তিনি দিল্লিতে পৌঁছাবেন তাই তাঁর পক্ষে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়”।

সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Parliament Special Session) নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। তার ঠিক একদিন আগেই অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বদল বৈঠকের (All Party Meeting) ডাক দিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, বিশেষ অধিবেশনের আগে অ্যাজেন্ডা নিয়ে সর্বদল বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরনো ভবনে বিশেষ অধিবেশন শুরু হলেও ঠিক তারপরের দিন অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীর দিন নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হবে। বুধবার সকালে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi) তাঁর এক্স হ্যাণ্ডেলে সর্বদল বৈঠকের বিষয়টি জানিয়েছেন। রবিবার বিকেল সাড়ে চারটেয় এই বৈঠক হবে বলে খবর। ইতিমধ্যে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতাদের ইমেল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে বিরোধীদের চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। তবে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandopadhyay) সাফ জানান, “বিশেষ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য ১৭ তারিখ ৫ টার পর যেহেতু তিনি দিল্লিতে পৌঁছাবেন তাই তাঁর পক্ষে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়”। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek Obrien) বলেন, “সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হতে আর মাত্র দুই কর্মদিবস রয়েছে। যদিও এখনও অ্যাজেন্ডা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। মাত্র দুজন ছাড়া আর কারও জানা নেই। এরপরেও আমরা নিজেদের সংসদীয় গণতন্ত্র বলব!” অন্যদিকে, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে উদ্বেগপ্রকাশ করে জানান, “কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের না আলোচনা না করেই অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু কাউকেই এই অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা সম্পর্কে জানানো হয়নি”। কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, “আর মাত্র ৫দিন পরেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন। অথচ এক বা দুই ব্যক্তি ছাড়া সংসদের অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা সম্পর্কে কিছু জানেন না। আগে যখনই বিশেষ অধিবেশন হয়েছে, আগে থেকে কর্মবিবরণী জানিয়ে দেওয়া হয়েছে”। অন্যদিকে, সোনিয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে সরব হন শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও। তিনি বলেন, মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থী। এমন সময় সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা দুর্ভাগ্যজনক ও হিন্দুদের অনুভূতির পরিপন্থী। উল্লেখ্য, সংসদের বাদল অধিবেশনের এক মাস পেরনোর আগেই কেন্দ্রের তরফে ফের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। তবে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গনেশ চতুর্থীর পুজোপাঠের পর পাকাপাকিভাবে নতুন সংসদে যাওয়ার জন্যই এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা, চন্দ্রযান অভিযান, জি ২০ সম্মেলন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সর্বদল বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। তবে ইন্ডিয়া নামের পরিবর্তে ভারত নামকরণ নিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে মোদি সরকারকে। সেই বিতর্কের মাঝেই এই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

 

 

 

 

 

 

Previous articleলিভ-ইন পার্টনারকে খু*নের অভি*যোগ পুরুষ সঙ্গীর বি*রুদ্ধে!
Next articleপছন্দের ফুটবলার না পাওয়ায় এশিয়ান গেমসে যেতে বেঁকে বসেছেন বিদ্রোহী স্তিমাচ