পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অন্ধকারে, স্কুলের গাফিলতিতে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

রিপন স্ট্রিটে ইংরেজি মাধ্যম সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের বিরুদ্ধে উঠেছে চরম গাফিলতির অভিযোগ।

স্কুলের বৈধতা নেই, ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মাথায় হাত। আদৌ পড়ুয়ারা বোর্ডের পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সেই নিয়ে ধোঁয়াশা। স্কুলের গাফিলতিতে তিন হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে। রিপন স্ট্রিটে ইংরেজি মাধ্যম সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের বিরুদ্ধে উঠেছে চরম গাফিলতির অভিযোগ। সেই গাফিলতির খেসারত মেটাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিভাবকেরা।এই পরিস্থিতিতে কলকাতার ওই বেসরকারি বিদ্যালয়কে সেই অভিযোগে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।

অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গড়িমসিতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত বিশ বাঁও জলে। কাউন্সিল ফর দি ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশন কলকাতার সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের বৈধতা খারিজ করে দিয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর একটি বিবৃতি জারি করে সিআইএসসিই জানিয়ে দেয় ওই স্কুলের আর কোনও বৈধতা নেই। স্কুলের মান্যতা চলে যাওয়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বোর্ড পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন অসম্পূর্ণ। জানা গিয়েছে, স্কুলের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার কারণে সেন্ট অগাস্টিনের মান্যতা খারিজ করেছে সিআইএসসিই।

স্কুলের গাফিলতিতে এতগুলো পড়ুয়ার ভবিষ্যত কেন নষ্ট হবে এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। গতবছর থেকেই বৈধতা নেই ওই স্কুলের তা জানা সত্ত্বেও পড়ুয়াদের জন্য কোনও ব্যবস্থাই করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। ফলে দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের বোর্ড পরীক্ষার আর কয়েক মাস বাকি, তাও কোনও রেজিস্ট্রেশন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা। বিষয়টি শুনে হাইকোর্ট একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছে। তিনি সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবেন আদালতে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।

স্কুলের অভিভাবকদের একাংশ এই সমস্যার জন্য সিআইএসসিইকেই দায়ী করেছেন। তাদের দাবি, বোর্ড একবার পড়ুয়াদের বিষয়টি খতিয়ে দেখল না। অন্যদিকে আরেক পক্ষের দাবি, স্কুলই এর জন্য দায়ী। জরাজীর্ণ স্কুল বিল্ডিং ছেড়ে স্কুল যে অন্য ঠিকানায় স্থানান্তর হয়েছে তা তারা বোর্ডকে জানায়নি। নতুন বিল্ডিংয়ের স্কুলের ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন নেই। এর জন্যই সমস্যা। তবে স্কুল অধ্যক্ষের দাবি, এই সমস্যা সাময়িক।দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু বোর্ড পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকায় চিন্তায় পরীক্ষার্থী ও তাদের বাবা মায়েরা। এখন সমস্যা সমাধানের জন্য তারা তাকিয়ে হাইকোর্টের দিকে।

 

Previous article‘এবি ঝুকেগা নেহি’! সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ, পুষ্পা স্টাইলে অভিষেকের পাশে অনুরাগীরা  
Next articleবই পড়ার অভ্যাস ফেরানো দরকার, শিশু সাহিত্য উৎসবে বললেন ব্রাত্য