Thursday, December 4, 2025

শরদ নাকি অজিত, NCP’র অধিকার কার? শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন

Date:

Share post:

এবার শিবসেনার(Shivsena) অঙ্কে এনসিপিতেও(NCP) অধিকারের লড়াই। ভাইপো অজিত পাওয়ার(Ajit Pawar) কাকার হাত ছাড়তেই শিবসেনা যে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে তা মেনে নিল নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। তবে কোন শিবিরের অধিকারে যাবে দলের নাম ও প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী মাসেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

কাকা শরদ পওয়ারের হাত ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর দলের প্রতীক ও নাম ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় এনসিপির অজিত(Ajit Pawar) শিবির। তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ভাবে মেনে নিল এনসিপি এখন দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। দলের নাম এবং ঘড়ি প্রতীক কার হাতে থাকবে, তা চূড়ান্ত করতে আগামী ৬ অক্টোবর বৈঠক ডেকেছে কমিশন। বৈঠকে ডাকা হয়েছে দলের যুযুধান দুই গোষ্ঠীকেই। ওই দিন আলাদা আলাদা শুনানিতে দুই পক্ষের সাংগঠনিক শক্তিই খতিয়ে দেখবে কমিশন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শরদ পাওয়ারের সঙ্গ ছেড়ে অনুগামী সহ বিজেপির হাত ধরেছে ‘অভিমানী’ অজিত পাওয়ার। অজিত অনুগামী এনসিপির ৯ বিধায়ককে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিত্ব। অজিত নিজেও হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় অজিত অনুগামীদের বরখাস্ত করেন শরদ। যদিও অজিতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে অনুমান করা হচ্ছিল, হয়ত দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন পাওয়ার। কিন্তু কোনও ফল হয়নি তাতে। যার জেরেই শিবসেনার পথ ধরে এবার দলের অধিকার নিজের হাতে নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ অজিত।

spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...