বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (VC Meet)সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী ও সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজ কুমার কোঠারি। অথচ কিছুদিন আগে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে যখন বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), তখন রাজ্যের উপাচার্যদের একাংশ অনুপস্থিত ছিলেন। এখানেই শেষ নয় কার্যত রাজ্যকে এড়িয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) নিযুক্ত কয়েক জন উপাচার্য। উচ্চশিক্ষা নিয়ে আলোচনাচক্রের নামে বিজেপির নেতাদের অঙ্গুলি হিলনে আগামীতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন করে চালাবেন রাজ্যপাল, এদিন সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। বিষয়টি একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister)। ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় হাজির উপাচার্যদের ‘ক্রীতদাস’ বলে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)।

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। শিক্ষক দিবসের দিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তথা উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্যপাল আলোচনাই করেননি বলে অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর। রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর পরোক্ষ বাকযুদ্ধের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখবন্ধ খামে রাজ্যপাল চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠক নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল।
এই বৈঠকের কথা জানার পরে শিক্ষা মন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দেগেছেন। নিশানা করেছেন রাজ্যপাল বোসকেও। তিনি লেখেন, “রাজ্যের অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ক্রীতদাস উপাচার্য যাঁদের ‘স্বীকৃতি’ দিয়েছেন মিস্টার বন্ড বা (বা স্বপন কুমারের দীপক চট্টোপাধ্যায়) বিজেপির এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আশা করছি, মহামান্য আদালত বিষয়টি দেখছে।”

5 slave VCs of State-Aided Universities so “authorised” by Mr. Bond (Or Dipak Chat by Swapnakumar?) met a Central BJP Minister today! Hopefully the Hon’ble Courts are watching!
#Tyranny#Bengal Higher Education system destroyed!— Bratya Basu (@basu_bratya) September 14, 2023