রাজ্যপালের বেআইনি মৌরসিপাট্টা বন্ধ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, এখন থেকে রাজ্যপাল আর একতরফা উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। উপাচার্য নিয়োগের জন্য যে সার্চ কমিটি রয়েছে, তা তৈরি করে দেবে খোদ সুপ্রিম কোর্ট।নিঃসন্দেহে সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য হলেন স্বেচ্ছাচারী রাজ্যপাল এবং তাঁর নিয়োগ কর্তারা।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে হাজির রাজ্যের উপাচার্যদের একাংশ, ‘ ক্রীতদাস’ বলে ক.টাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর!
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রাজ্য-রাজ্যপাল মামলার স্পষ্টতই বিরক্তি প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। রাজ্য সার্চ কমিটি তৈরি করতে চাইলেও রাজ্যপাল তা ফেলে রেখে দিয়ে নিজের মনমতো উপাচার্য নিয়োগ শুরু করেন। যা শুধু নীতি বহির্ভূত তাই নয়, প্রশ্ন ওঠে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের এই আইনি অধিকার রয়েছে কিনা।শুক্রবার রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন,রাজ্যপাল প্রশাসনের সকলকে অগ্রাহ্য করে নিজের সিদ্ধান্তে কলেজ চালানোর চেষ্টা করছেন। রাজ্যপালের শিক্ষামন্ত্রীর নানা বিষেশণে ভূষিত করার প্রসঙ্গ কোর্টে তোলা হলে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই বিষয়টি নিয়ে কোর্ট মোটেই চিন্তিত নয়,পড়ুয়া এবং পড়াশুনার পরিবেশই মূল উপজীব্য বিষয়।এরপরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সার্চ কমিটি তৈরি করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার,রাজ্যপাল এবং ইউজিসি তিনজন করে নামের তালিকা ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাবে সুপ্রিম কোর্টে।২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।এই তালিকা থেকেই সম্ভবত সুপ্রিম কোর্ট সার্চ কমিটি তৈরি করতে চলেছে।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত। আমাদের দাবি ছিল, রাজ্যপাল একতরফা ভাবে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করছেন। শীর্ষ আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই তা করতে হবে।অন্তর্বতীকালীন বিষয় থেকে সরে এসে দ্রুত স্থায়ী সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে। এবং সার্চ কমিটি গঠন নিয়েও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল তথা আচার্যের উপর ভসরা রাখতে পারছে না।। নিজেরাই দায়িত্ব নিচ্ছে। এটা রাজ্যপালের অপদর্থতা, অকরমন্যতা প্রমাণ করে। আদালতের তরফে আমাদের যে নোমিনি পাঠাতে বলা হয়েছে, তা যথাসময়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”