শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আপামর বাঙালির আবেগ। সেই শান্তিনিকেতনের মুকুটে নয়া পালক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করল ইউনেস্কো। রবিবার X হ্যান্ডেলে ইউনেস্কো সেকথা জানায়। এরপরই টুইটে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আনন্দিত এবং গর্বিত যে আমাদের শান্তিনিকেতন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, এখন অবশেষে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জয় বাংলা, প্রণাম গুরুদেবকে।”
Glad and proud that our Santiniketan, the town of Gurudev Rabindranath Tagore, is now finally included in UNESCO’s World Heritage List. Biswa Bangla’s pride, Santiniketan was nurtured by the poet and has been supported by people of Bengal over the generations. We from the…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) September 17, 2023
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, “সকল নাগরিক এবং সারা বিশ্বের বাঙালিদের জন্য একটি অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ও আদর্শকে আলিঙ্গন করে বাংলা চিরদিন আশার আলোকবর্তিকা হয়ে থাকুক।
An immensely proud moment for all citizens of our great nation and Bengalis around the world. May Bengal forever remain a shining beacon of hope, embracing the teachings and ideals of Rabindranath Tagore. 🇮🇳#PrideOfBengal #BiswaBangla 🌍 https://t.co/u6OwzzX38B
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 17, 2023
শান্তিনিকেতন, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শহর। নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন এই স্থানেই। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডির তরফে এই বছর শুরুতেই শান্তিনিকেতনকে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। আজ সরকারিভাবে ইউনেস্কোর তরফে সেই ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় এই নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলেও জানা গিয়েছিল।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জায়গাটির বর্ণনা অনুসারে, “শান্তিনিকেতন, কলকাতার একশত মাইল উত্তরে আজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় শহর হিসেবে পরিচিত। মূলত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা নির্মিত একটি আশ্রম ছিল সেখানে, যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যে কেউ এসে এক পরম ঈশ্বরের ধ্যানে সময় কাটাতে পারে। এটি পরে নোবেলজয়ীর বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্রের ভিত্তি হয়ে ওঠে।”
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে কেন্দ্র প্রথম শান্তিনিকেতনের জন্য বিশ্ব ঐতিহ্য ট্যাগ পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হওয়ার কারণ যদিও জানা যায়নি। ২০২১ সালে আবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা একটি নতুন ‘ডসিয়ার’ তৈরি করে ইউনেস্কোতে জমা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল কবিগুরুর শান্তিনিকেতন, বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তকমা দিল ইউনেস্কো