‘ফ্রায়েড রাইস সিন*ড্রোম’ নিয়ে বাড়ছে উ*দ্বেগ! কী বলছেন পুষ্টিবিদরা?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, যে ধরনের খাবারে স্টার্চের পরিমাণ বেশি, সে ধরনের খাবারে ব্যাক*টেরিয়া বাসা বাঁধে। রান্না করার পর তা সঠিক তাপমাত্রায়, সঠিক ভাবে সংর*ক্ষণ না করলে তার মধ্যে 'ব্যাসিলাস সে*রেয়াস' (Bacillus cereus) নামক ব্যাক্টে*রিয়া জন্মায়।

বিপদ বাড়াচ্ছে ‘ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম’ (Fried Rice Syndrome)। বাসি খাবারেই বিপত্তি? পুষ্টিবিদরা (Nutritionists) বলছেন পাঁচ দিন আগের রান্না করা খাবার খেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ২০ বছর বয়সি তরুণ। এই খবর ভাইরাল হতেই চিন্তায় চিকিৎসকরা। এমনিতেই বর্তমান যুগে ফাস্ট ফুডের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। রাস্তার পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে সস্তায় ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন (Fried rice and chili chicken)খাওয়ার দোকান। কিন্তু এই খাবার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। উল্লিখিত ঘটনা ২০০৮ সালের। এটাই কি ‘ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম’ (Fried Rice Syndrome)? কিন্তু এই রোগ শরীরে রাতারাতি দানা বাঁধে কী করে? এর থেকে বাঁচার উপায়ই বা কী? এইসবের জন্য এই সিনড্রোমের বিষয়ে জানা দরকার।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, যে ধরনের খাবারে স্টার্চের পরিমাণ বেশি, সে ধরনের খাবারে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। রান্না করার পর তা সঠিক তাপমাত্রায়, সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করলে তার মধ্যে ‘ব্যাসিলাস সেরেয়াস’ (Bacillus cereus) নামক ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। সেই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে যে রোগ হয়, তা-ই ‘ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম’ নামে পরিচিত। এমনিতেই পুজোর প্রসাদ বা খাবার থেকে বিষক্রিয়া বা সেখান থেকে মৃত্যুর খবর নতুন কিছু নয়। কাঁচা, আধসেদ্ধ ডিম, মাছ বা মাংস থেকে স্যালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া, না ফোটানো দুধে বা দুগ্ধজাত খাবারে জন্মানো লিস্টেরিয়ার মতো ব্যাক্টেরিয়া শরীরে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে । সঠিক তাপমাত্রায় রাখলে এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বাসি খাবার রাখলে তার মধ্যে ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। তা থেকে টক্সিন তৈরি হয় যা মানবদেহের পক্ষে ক্ষতিকর পদার্থ নির্গত হয়। রোগীর শরীরে এই ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করার পর গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইন ট্র্যাকের (In the gastro-intestinal tract) ভিতর তা বাসা বেঁধে বিষক্রিয়া শুরু করে। এর ফলে সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে অন্ত্রেও। কোনও ভাবে সংক্রামিত হলে ১ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক বার বমি হতে দেখা যায়। ব্রাসেল্‌সের তরুণের মধ্যেও অতিরিক্ত বমি, জলের মতো মলত্যাগ, পেটব্যথার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তদন্তের পর জানা গিয়েছিল, দিন পাঁচেক আগে রান্না করা ওই খাবার মানে পাস্তাটি পড়ে ছিল হেঁশেলের স্বাভাবিক তাপমাত্রায়।

এখানে চিকিৎসকেরা বলছেন যে খাবার রান্না করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই খেয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকেরা। যদি তা না-ও হয়, তা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করে ফ্রিজে রাখতে হবে। এবার আপনি বাইরে যখন খাবার খাচ্ছেন তখন যে ভাত আপনি খাচ্ছেন সেটা আগে থেকে তৈরি করা থাকে। তাই সেটা বাসি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার। খাবার সুরক্ষিত রাখতে হলে কাচের বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করাই ভাল। আর রান্না করা গরম খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় না এলে তা ফ্রিজে রাখবেন না।

Previous articleবিকেলে প্রবাসীদের সঙ্গে মিলন অনুষ্ঠান, ভারতীয় নৃত্যগীতে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে বার্সা
Next articleমাত্র সাত ম্যাচে ৪৪ কার্ড!ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নয়া রেকর্ড