টিভি নিউজ চ্যানেলগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের 

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে এনবিডিএ-র বর্তমান এবং প্রাক্তন চেয়ারপার্সন, বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং আর ভি রভেন্দ্রনের নতুন নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।

বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমগুলির (TV News Channel) পর্যবেক্ষণের উপর জোর দিতে নিউজ ব্রডকাস্টার এবং ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনকে (NBDA) আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নতুন নির্দেশিকা নিয়ে আসতে আরও চার সপ্তাহ সময় লাগবে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে এনবিডিএ-র বর্তমান এবং প্রাক্তন চেয়ারপার্সন, বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং আর ভি রভেন্দ্রনের নতুন নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) সাফ জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই একটি তিন-স্তর ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যার প্রথমটি হল স্ব-নিয়ন্ত্রণ। তবে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার কেন্দ্রের কৌশলকে একেবারেই সোজাভাবে দেখতে নারাজ বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই একের পর এক আইন প্রণয়নের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে মোদি সরকার। তবে সংবাদমাধ্যমের উপর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ যে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না তা সাফ জানিয়েছে তাঁরা।

এদিন বর্ষীয়ান আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি, নিউজ ব্রডকাস্টার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (NBFI) এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয়ে বলেন, ফেডারেশন ২০২২ এর নিয়ম অনুসারে কেন্দ্রের একমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনবিডিএ। আর সেকারণেই এনবিএফআই-কে তার নিজস্ব নির্দেশিকা ফাইল করার অনুমতি দেওয়া হোক। এরপরই জেঠমালানির সেই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা চাই রেগুলেটরি সিস্টেমকে (Regulatory System) আরও কঠোর করা হোক। চার সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে, শীর্ষ আদালত টিভি নিউজ চ্যানেলগুলি পর্যবেক্ষণের জন্য রেগুলেটরি ব্যবস্থায় ত্রুটি খুঁজে পেয়ে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল। এরপরই আদালত সাফ জানায় তারা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে “আরও কার্যকর” করতে চায়। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল যে তারা মিডিয়ার উপর কোনও সেন্সরশিপ চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধী। তবে বিদ্বেষ ছড়ানো ঘৃণা ভাষণ দেশের জন্য ভয়ানক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। এদিকে টিভি চ্যানেলে প্রদর্শিত বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত বলে, ভারত মুক্ত ও ভারসাম্যপূর্ণ সংবাদমাধ্যম চায়। তবে বর্তমানে সব টিভি চ্যানেল একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি তাঁদের কর্তব্য সম্পর্কেও অবগত হতে হবে।

 

 

 

Previous articleদেশে যতই লড়াই থাকুক, বিদেশে আমরা ইন্ডিয়ান: মমতা
Next articleবিতর্কের মুখে তপনের নাথানিয়াল মুর্মু মেমোরিয়াল কলেজের বিতর্কিত নোটিশ প্রত্যাহার