সেনাবাহিনীতে মেয়েরা যোগ দিলে ছেলেরা নার্স হওয়ায় আপত্তি কেন? প্রশ্ন দিল্লি আদালতের

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে এগিয়ে আসছে মেয়েরাও। সিয়াচেনে গিয়ে দক্ষতা দেখাচ্ছেও তারা। তাহলে ছেলেদের নার্স হওয়ায় আপত্তি কোথায়? লিঙ্গসাম্য নিয়ে একটি মামলার শুনানিতে এমনই প্রশ্ন তুলল দিল্লি হাই কোর্ট। কেন নির্দিষ্ট কোনও পেশা থেকে একটি বিশেষ লিঙ্গের মানুষকে সরিয়ে রাখা হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছে উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম নির্দেশ: NDA-র পরীক্ষা দিতে পারবেন মেয়েরাও
সম্প্রতি সেনা হাসপাতালগুলিতে কেবল মহিলা নার্স রাখার ‘অসাংবিধানিক’ প্রথার বিরুদ্ধে মামলা হয় দিল্লি হাইকোর্টে। বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। এই মামলায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি আদালতে জানান, সেনা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শুধু মহিলা নার্স রাখার প্রথা দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে। তবে আইনসভায় মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র নারী সংরক্ষণের বিল লোকসভায় পেশ করেছে, তা-ও আদালতে উল্লেখ করেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।

দুই বিচারপতির বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলে, “এক দিকে আপনারা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলছেন, অন্য দিকে আপনারাই বলছেন, পুরুষেরা নার্স হিসাবে কাজে যোগ দেন না।” এই প্রসঙ্গেই আদালতের সংযোজন, “এক জন মহিলা যদি সিয়াচেনে গিয়ে সেনা অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দিতে পারেন, তবে এক জন পুরুষও হাসপাতালে কাজ করতে পারেন।” ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে নারীদের যোগদানের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে ছাড়পত্র দিয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করে উচ্চ আদালত।
আবেদনকারী সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান প্রফেসনাল নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন’-এর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী অমিত জর্জ। তিনি আদালতে সওয়াল করে বলেন, “এখন সব হাসপাতালে পুরুষ নার্সও থাকেন। এমনকি শীর্ষ আদালত বলেছে যে, সেনার গঠনতন্ত্রে কোনও লিঙ্গ অসাম্য থাকতে পারে না।” এই সংক্রান্ত মামলায় আগে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল আদালত। নভেম্বরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি।

Previous articleঅনন্তনাগে নি.কেশ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ল.স্কর কমান্ডার সহ আরও ২ জ*ঙ্গি
Next articleশুক্রবার দুবাইয়ে শিল্প সম্মেলন, বিশ্ববিখ্যাত লু লু গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর