অবশেষে হাতে পেলেন নিয়োগপত্র! ববিতার জায়গায় শিক্ষিকা পদে অনামিকা

ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক নম্বর ত্রুটিপূর্ণ থাকায়, তাঁকে দেওয়া চাকরি ফিরিয়ে নেয় আদালত। পরিবর্তে সেই চাকরি অনামিকা রায়কে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নোটিফিকেশন বের করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে স্বপ্নপূরণ অনামিকা রায়ের। বুধবার স্কুল শিক্ষিকার নিয়োগপত্র হাতে নিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে এসেছিলেন তিনি। এবার চাকরিতে যোগ দেওয়ার পালা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশে নিয়োগপত্র নিতে বুধবার দুপুরে সল্টলেকের ডিরোজিও ভবনে আসেন অনামিকা।

ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক নম্বর ত্রুটিপূর্ণ থাকায়, তাঁকে দেওয়া চাকরি ফিরিয়ে নেয় আদালত। পরিবর্তে সেই চাকরি অনামিকা রায়কে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নোটিফিকেশন বের করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বুধবার দুপুরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিয়োগপত্র নিতে আসেন অনামিকা রায়। তিনি জানান, শিক্ষকতা করাই তাঁর একমাত্র ইচ্ছে ছিল। তাই এই চাকরি পাওয়ায় তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হল।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় তাঁর সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় ববিতা সরকারকে চাকরি দেওয়া নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গোটা রাজ্যে। কিন্তু তারপরই ববিতার নিয়োগে পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনামিকা রায়। অনামিকা রায় দাবি করেন, তিনি ববিতার চেয়েও ২ নম্বর বেশি পেয়েছিলেন। ফলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য দাবিদার ববিতা নন, তিনি। এরপরই ববিতার চাকরি বাতিল করে অনামিকাকে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ববিতাকে ৬ মাসের বেতন সহ প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

Previous articleবিশ্বকাপের আগে গোল্ডেন টিকিট থালাইভার! দক্ষিণী তারকাকে BCCI-এর উপহার
Next articleদুবাইয়ে মমতার সঙ্গে শিল্প-বৈঠকের সম্ভাবনা, কারা এই লুলু গ্রুপ!