ডা.ইনি অপবাদে বেধড়ক মা.র! ম.র্মান্তিক পরিণতি বৃদ্ধার, গ্রে.ফতার ২ অ.ভিযুক্ত

পুলিশ সূত্রে খবর, নিঃসন্তান ওই আদিবাসী দম্পতি পেশায় দিন মজুর। বুধবার রাত একটা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থানার খোয়ারডাঙ্গার নারারথলি এলাকায় তাঁদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

ফের ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে খুন করা হল এক বৃদ্ধাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের (Dooars) আদিবাসী মহল্লায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই বৃদ্ধার নাম চৈতি ওঁরাও (৬০)। আর তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বৃদ্ধার স্বামী বলিরাম ওঁরাও। বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে (Aliporeduar District Hospital) চিকিৎসাধীন বছর ৬৫-র ওই ।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিঃসন্তান ওই আদিবাসী দম্পতি পেশায় দিন মজুর। বুধবার রাত একটা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থানার খোয়ারডাঙ্গার নারারথলি এলাকায় তাঁদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে, ঘটনায় অভিযুক্ত বলিরাম ওঁরাওয়ের সম্পর্কে দুই বোনপো সঞ্জয় ওঁরাও ও আলফ ওঁরাওকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সঞ্জয় ওঁরাওয়ের বোন বছরদুয়েক আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সম্প্রতি সঞ্জয়ের মা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই ওই নিঃসন্তান দম্পতিই দুজনকে তুকতাক করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সঞ্জয় পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। মায়ের কাজে যোগ দিতে কর্ণাটক থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে সঞ্জয়। বুধবার ছিল সঞ্জয় ওঁরাওয়ের মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান। তা শেষ হতেই রাত গড়িয়ে যায়। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন ওই আদিবাসী দম্পতি। যদিও তাঁরা নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান নি বলে খবর।

পুলিশের অভিযোগ, এদিনের অনুষ্ঠান শেষে গভীর রাতে সম্পর্কে মামার বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় বলিরামের দুই ভাগ্নে সঞ্জয় ও আলফ। বিনা প্ররোচনায় তারা ওই দুই বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে মারধর শুরু করে। বেধড়ক মারে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চৈতি ওঁরাও। আর স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে রেহাই পাননি স্বামী বালিরামও। তাঁকে টেনেহিচড়ে বাড়ির উঠোনে নিয়ে গিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। এদিকে মারামারির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা বেরিয়ে এলে অভিযুক্তরা চম্পট দেয়। মুহূর্তের মধ্যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে খবর। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় বলিরাম ওঁরাওকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ।

 

 

 

 

Previous articleঅরিজিতের বাড়িতে বাদশা! মধ্যরাতে মুর্শিদাবাদের অবাক কাণ্ড
Next articleকুন্তলের চিঠির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তের আবেদন আদালতে!