দীপাবলিতে রাজধানীতে আতশবাজি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

দীপাবলিতে কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না। এমনকি ‘গ্রিন ক্র্যাকারও’। দূষণ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ বলে আগেই জানিয়েছিল কেজরিওয়াল প্রশাসন। দিল্লি হাইকোর্টও পরিবেশের সুরক্ষার্থে বাজি উৎপাদন ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবার দিল্লি হাইকোর্টের রায়কেউ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়,দীপাবলিতে দিল্লিতে আতশবাজির উৎপাদন, বিক্রি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বেরিয়াম ব্যবহার করে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ তৈরি ও ব্যবহার করার আবেদন খারিজ করে দেয়।

আরও পড়ুনঃএশিয়ান গেমসে যাওয়ার ভিসা পেলেন না অরুণাচলের তিন খেলোয়াড়, চিন সফর বাতিল ক্রীড়ামন্ত্রীর
এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, ২০১৮ সালের নিষেধাজ্ঞা সমস্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হবে।গত সপ্তাহে, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং এমএম সুন্দ্রেশের একটি বেঞ্চ এই বিষয়ে দু’পক্ষের মতামত শোনার পর বিষয়টিক রায় দেয়।
দিল্লি হাইকোর্ট দীপাবলি উদযাপনের সময় রাজধানীতে আতশবাজির উপর সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা ও সাংসদ মনোজ তিওয়ারি ২০২২ সালে দিল্লিতে আতশবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। শুনানিতে আদালত আবেদনকারীকে প্রশ্ন করে যে ,তিনি কী বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের (সিএসআইআর) উপরে কর্তৃত্ব জাহির করতে চাইছে নাকি ! আদালতের মন্তব্য, প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিশ্বাস করতে হবে।শুনানির সময় সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি আদালতকে জানায় যে সরকারী প্রস্তাবে বেরিয়াম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা ঠিক, তবে এটি ২০১৮ দীপাবলির জন্য ছিল।আদালত মন্তব্য করেছে যে দিল্লিতে ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ হোক বা অন্য সব কিছুই এখন নিষিদ্ধ। ভাটি আদালতকে আরও জানান, দিল্লি পুলিশ ২০১৬সাল থেকে আতশবাজির কোনও স্থায়ী লাইসেন্স জারি করেনি। তিনি আদালতকে এও জানান, যে সমস্ত স্থায়ী আতশবাজি উৎপাদন লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং পুলিশ লাইসেন্সধারীদের সমস্ত জায়গা পরিদর্শন করবে।আদালতের পর্যবেক্ষণ ,যে যারা আতশবাজি ফাটাবে তাদের শাস্তি দেওয়াই যথেষ্ট নয়, কর্তৃপক্ষকে এই আতশবাজিগুলির উৎসের সন্ধান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আতশবাজি ব্যবহারে কোন সার্বিক নিষেধাজ্ঞা ছিল না এবং কেবলমাত্র সেই আতশবাজিগুলি নিষিদ্ধ যা বেরিয়াম লবণ রয়েছে।
প্রতি বছর শীতের মরসুমে দূষণে দমবন্ধকর পরিস্থিতি হয়ে ওঠে দিল্লিতে। এই পরিস্থিতির সূচনা হয় দীপাবলীতে। রাজধানী জুড়ে আতশবাজির তাণ্ডব এক মুহূর্তে বাতাসের পরিস্থিতি একেবারে বদলে দেয়। দীপাবলিতে দিল্লি যাতে ‘গ্যাস চেম্বারে’ পরিণত না হয়, তাই আগেভাগেই কড়া পদক্ষেপ নেয় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার।দিল্লিতে যাতে কাউকে বাজি বিক্রির লাইসেন্স না দেওয়া হয়, সে দিকটাও নজরদারি চালাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ ব্যবহারে ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, ‘গ্রিন ক্র্যাকার’-এর আড়ালে সমস্ত রকম বাজি বিক্রি হচ্ছে। ফলে দূষণ আরও বেড়েছে। তাই এ বার ‘গ্রিন ক্র্যাকার’-এও নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছেন তাঁরা।

Previous articleএশিয়ান গেমসে যাওয়ার ভিসা পেলেন না অরুণাচলের তিন খেলোয়াড়, চিন সফর বাতিল ক্রীড়ামন্ত্রীর
Next articleঅসু.স্থ পরিযায়ী শ্রমিকের দেহে মেলেনি নিপা ভা.ইরাস, স্বস্তি রিপোর্টে