Thursday, August 28, 2025

ফের রাজ্যপালের (Governor) ‘তুঘলকি’ মনোভাবের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। শনিবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আচার্যের সার্বিক অগণতান্ত্রিক নীতি এবং উচ্চশিক্ষায় স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সেলের পক্ষ থেকে এক পথসভার আয়োজন করা হয়। শনিবাসরীয় বিকেলে মেয়ো রোডের সেই পথসভা থেকেই নাম না করে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে ওঠেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। নাম না করে রাজ্যপালের পদকে “সাদা হাতির’ সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানান, স্বৈরাচারী রাজ্যপালের এক্তিয়ার বহির্ভূত কার্যকলাপের শেষ দেখে ছাড়বে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

তবে এদিন ব্রাত্য বসু সাফ জানিয়ে দেন, উপাচার্য নিয়োগে সি ভি আনন্দ বোসের এই অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সেলের আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।  তবে এদিন ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, রাজ্যপালের পদ সাদা হাতির মতো। এই পদ রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য। পাশাপাশি এদিন রাজ্যপাল তথা আচার্যের নাম না করে তাঁকে ‘কবি’ বলে কটাক্ষ করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যিনি রাজ্যপাল, তিনিই আচার্য। রাজভবনে কবি বসে আছেন। শিক্ষামন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, একজন কবির আবেগ থাকবে, প্যাশন থাকবে কিন্তু তাঁর মধ্যে ‘আধিপত্যের মানসিকতা’ চলে এলে মুশকিল। উনি ভাবছেন সবকিছু একা চালাবেন। পাশাপাশি এদিন ব্রাত্য অভিযোগ করেন, মমতা ভারতের এক নম্বর আইকন। আর রাজ্যপাল তাঁকেই ছোট করতে চাইছেন। শিক্ষমন্ত্রীর সংযোজন, উনি বিজেপির নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছেন। এরপরই নাম না করে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনার স্পর্ধা তো কম নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অপমান করবেন?

ব্রাত্যর দাবি, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নামের তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েই পাঠানো হয়েছে। মুখ্যসচিব নিজে তা রাজভবনে পাঠিয়েছেন। তারপরেও কীভাবে এত প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে রাজ্যপালকে পাল্টা দেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, আর্টসের অধ্যাপককে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন আচার্য। ব্রাত্য সাফ জানান, “আমি দুদুও খাব তামাকও খাব” এমন মতাদর্শের মানুষদেরই বেছে বেছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে ব্রাত্য বলেন, ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির নজির গড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ভারতবর্ষে এত কমসময়ে এত বেশি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির নজির নেই।  তিনি মনে করিয়ে দেন রাজ্যপালের মেয়াদ মাত্র ৫ বা ৬ মাস। কিন্তু যেসব উপাচার্য বর্তমানে ‘দুদু ও তামাক’ খেতে চাইছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমি কখনই খারাপ কথা বলব না। আপনাদের যেমন মনে হচ্ছে আপনারা তেমনটাই করুন। তবে ব্রাত্য এদিন মনে করিয়ে দেন, শিক্ষাক্ষেত্র শিক্ষাবিদদের জায়গা কখনোই রাজনীতিবিদদের জায়গা নয়।

 

 

 

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version