সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনার কারণে আশঙ্কা ছিল, উৎসবের মরশুমে রাজ্য সরকার আদৌ বাজি বাজারের অনুমতি দেবে কিনা? যা নিয়ে বাজি ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ উদ্বেগে ছিলেন। তবে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তি বাজি ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। পুজোর মরশুমে এবারেও প্রতি জেলায় জেলায় বাজি বাজার বসবে। এবং প্রতিবার সেখানে সাত দিন বাজারের অনুমতি দেয় প্রশাসন, সেখানে এবারে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাজি বাজার চলবে এক মাস।বাজি বাজার বসলেও একাধিক নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। এমএসএমই দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাজি বাজারে ১০০ কেজি পর্যন্ত সবুজ বাজি এবং ৫০ কেজি পর্যন্ত ফুলঝুরি বিক্রির অনুমতি পাবেন ব্যাবসায়ীরা। এছাড়াও প্রতিটি বাজারে ৫০টির বেশি স্টল করা যাবে না। প্রতিটি স্টলের মধ্যে কমপক্ষে দুরত্ব রাখতে হবে তিন মিটারের। দুটি স্টলের গেট মুখোমুখি করা যাবে না। সচেতনতার জন্য বাজার চত্বর এবং আশেপাশে ‘বিস্ফোরক এবং বিপজ্জনক সামগ্রী’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। স্কুল, মন্দির, টেলিফোন বা বিদ্যুৎ ভবনের মতো জায়গা থেকে বাজি বাজারের দূরত্ব অন্তত ৫০ মিটার হতে হবে। দাহ্য নয় এমন জিনিস দিয়ে স্টলগুলো তৈরি করতে হবে। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে বাজারের পাশেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা এবং দমকলের দু’টি গাড়ি অবশ্যই রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের পাঁচটি জেলায় ইতিমধ্যেই সবুজ বাজি তৈরি করার ক্লাস্টার করার কাজ শুরু হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। সবুজ বাজি নির্মাণকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। তবে একটি বিষয়ে রাজ্য সরকার তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে, তা হল কোনভাবেই যেন নিষিদ্ধ বাজি অবৈধ বাজি তৈরীর কারখানায় তৈরি না হয়। পুলিশের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ মহলের তরফে, যেখানেই অবৈধ বাজি কারখানার খোঁজ মিলবে সেখানেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেই বাজি কারখানার কাজ বন্ধ করবে। আটক করা হবে অবৈধ বাজি কারখানার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের। অন্যদিকে সবুজ বাজি তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কারণ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বাজি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে।