Thursday, August 28, 2025

শপথ নিয়ে বোসের ‘গা জোয়ারি’! সোমেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, জানালেন শোভনদেব

Date:

Share post:

ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণ নিয়ে সোমবারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার সন্ধেয় জানালেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shobhandev Chatterjee)। রাজ্যপাল যেভাবে সব রীতিনীতি ভেঙে পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biman Banerjee) উপেক্ষা করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে কার্যত গা-জোয়ারি মনোভাব দেখাচ্ছেন তাতে বিস্মিত সকলে। সোমবারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। তিনি চিঠি দেবেন বলে জানালেন পরিষদীয় মন্ত্রী।

সদ্য ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। বিধানসভা নয়, ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রাজভবনে করতে চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি সরাসরি ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে ফোনও করেছিলেন। যদিও ধূপগুড়ির বিধায়ক রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দেননি। রাজ্যপাল চেয়েছিলেন, সকলকে এড়িয়ে নিজের মতো করে গতকাল শনিবার রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে। তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। রাজ্যপালের এমন ভূমিকা নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় অতীতে কোনও বিধায়ককে রাজভবনে শপথ নিতে দেখা গিয়েছে, এমন নজির নেই। রাজ্যপাল নিজের চেয়ারের অপব্যবহার করে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে সেই পরিষদীয় রীতিনীতিকেই লঙ্ঘন করতে চাইছেন। কোনও উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব মূলত স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। এ-ছাড়া বিধায়কের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান সাধারণত বিধানসভাতেই হয়ে থাকে। পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, তাঁর কাছে নির্দেশ এসেছে। সোমবারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরের দিনই জয়ী বিধায়কের শপথ-সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে দু’সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই ফাইলে সই করেননি রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন- সুর নরম রাজ্যপালের! ‘জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি’ ব্রাত্যকে এবার সহকর্মী বললেন আনন্দ বোস

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...