যা ঘটেছিল আজকের দিনে, দেখে নিন একনজরে

১৮২০ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(১৮২০-১৮৯১) এদিন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ঊনবিংশ শতকের বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আধুনিক বাংলা ভাষার জনক বললে হয়তো ভুল বলা হবে না। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করেছিলেন। নারী-শিক্ষার সূত্রপাত ও বিস্তারে তাঁর অবদান ব্যাপক। শুধু নারী-শিক্ষাই নয়, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে বিদ্যাসাগর শিক্ষার আলো দেখাতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন বাল্যবিবাহের অবসান ঘটাতে, বিধবাবিবাহ প্রচলন করে নারীর অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে, বহুবিবাহ রহিত করে নারীকে অবিচার ও যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি দিতে। মাইকেল মধুসূদন তাঁর সম্পর্কে লিখেছিলেন, তিনি ছিলেন ‘the genius and wisdom of ancient sage, the energy of an Englishman, and the heart of a Bengali mother’, এই তিনের সমাহার।

১৯৮৯ হেমন্তকুমার মুখোপাধ্যায়
(১৯২০-১৯৮৯) এদিন পরলোক গমন করেন। তিনি ছিলেন স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক। লতা মঙ্গেশকর একদা তাঁর কৈশোরের ‘হিরো’ হেমন্তদাদার বিষয়ে বলেছিলেন, ‘‘এ যেন গুহার ভিতরে মন্দিরে দেবতার কণ্ঠস্বর। শ্রবণকে যা শুদ্ধ করে।’’ উস্তাদ আমির খান তাঁর গান শুনতে এসেছেন দেখে স্বভাব-বিনয়ী হেমন্ত কুণ্ঠিত হয়েছিলেন। কিন্তু উস্তাদজি বলেন, ‘‘মাইক্রোফোন থেকে আপনার স্বর ঈশ্বরের কণ্ঠ মনে হয়।’’ এখনও তাঁর স্মৃতিচারণা করতে বসলে হৈমন্তী শুক্লার মতো অনেক স্নেহধন্যই একবাক্যে স্বীকার করে নেন, ‘‘যেমন ছিল তাঁর সাদামাঠা জীবন, তেমনই সুর, গায়কি, কণ্ঠমাধুর্য।’’ বাংলা ছবিতে উত্তমকুমারের লিপে তাঁর গাওয়া গান চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয়।

১৯২৩ দেবানন্দ
(১৯২৩-২০১১) এদিন জন্ম নেন। বলিউডের চিরসবুজ অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর পুরো নাম ধরম দেবদত্ত পিশোরিমাল আনন্দ। একাধারে তিনি ছিলেন তুখোড় নায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৫০-এর দশক এবং ১৯৬০-এর দশকে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল গগনচুম্বী। দেবানন্দ অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে আছে ‘জিদ্দি’, ‘বাজি’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘সিআইডি’, ‘কালাপানি’, ‘কালাবাজার’, ‘গাইড’, ‘জুয়েল থিফ’, ‘গ্যাম্বলার’, ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’, ‘হীরা পান্না’ প্রভৃতি।

১৯৭৭ উদয়শংকর
(১৯০০-১৯৭৭) এদিন প্রয়াত হন। বিশ্ববিখ্যাত নৃত্যশিল্পী। তাঁর আকর্ষণীয় অভিনয়কলা দক্ষিণ এশিয়ার ধ্রুপদী লোকনৃত্য ও সংগীতের সমৃদ্ধি সম্পর্কে পাশ্চাত্য জগতে এক নতুন ধারণার জন্ম দেয়। তাঁর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভারতীয় নৃত্যকলার জন্য অভূতপূর্ব সম্মান, প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা বয়ে আনে। ভারত ও বাংলায় তিনি নৃত্যকে সংগীত ও নাটকের সমমর্যাদায় উন্নীত করেন। ১৯৭১ সালে তাঁকে ‘পদ্মবিভূষণ’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৫ সালে তাঁকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি প্রদান করে। ভারতীয় ডাকবিভাগ তাঁর এবং তাঁর দলের ‘তাণ্ডব নৃত্যের’ ওপর বেশ কয়েকটি বর্ণাঢ্য ডাকটিকিট প্রকাশ করে।

১৯০৩ হীরেন বসু
(১৯০৩-১৯৮৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, সংগীতশিল্পী, সংগীতরচয়িতা, সুরকার, লেখক ও ঔপন্যাসিক। বাংলা চলচ্চিত্রে নেপথ্য সংগীতের প্রবর্তক তিনি এবং প্রথম কণ্ঠদান তাঁর নিজের।

১৯১৬ নীরদ মজুমদার
(১৯১৬-১৯৮২ ) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। বিশ শতকের প্রথম দিকে ভারতীয় আধুনিকতাবাদী নবীন প্রজন্মের ও কলকাতা গ্রুপের অন্যতম চিত্রশিল্পী ছিলেন তিনি। ইউরোপীয় ছবির আঙ্গিকে ভারতীয় শৈলীর অপূর্ব সংমিশ্রণ করে নিজস্ব আঙ্গিকে শিল্প সৃষ্টি করেছিলেন।

 

 

Previous articleকলকাতা লিগে দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের, খিদিরপুরকে হারাল ১০-১ গোলে
Next articleডে.ঙ্গি রুখতে ‘স্মোক ফগার’ যন্ত্র কিনছে আলিপুর বডিগার্ড লাইন