র‌্যা.গিংয়ের শি.কার খোদ উপাচার্য ! রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ বুদ্ধদেব সাউ

ছাত্রমৃ.ত্যুতে জড়িতদের শা.স্তি মকুব করে দিচ্ছেন বলে অভি.যোগ উঠেছিল বুদ্ধদেবের বি.রুদ্ধে।

রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) কাছে নিরাপত্তা চাইলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ (Jadavpur University VC Buddhadeb Sau)। স্পষ্ট জানালেন, গত দুদিন ধরে শিক্ষার্থীরা যেভাবে তাঁকে হেনস্থা করেছেন তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। তাই এবার সরকারের (Government of West Bengal) কাছে সাহায্য চাইছেন। সূত্রের খবর, অ্যান্টি র‌্যাগিং নিয়মাবলির ৯ ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে ইউজিসি (UGC)। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে যান উপাচার্য। তার আগে যেভাবে ছাত্ররা তাঁর সঙ্গে আচরণ করেছেন তাতে রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া নির্বিঘ্নে কাজ করা মুশকিল বলে মনে করছেন বুদ্ধদেব সাউ (Buddhadeb Sau)।

র‌্যাগিংয়ের জেরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ তোলপাড় বাংলা। সেখানে ঘটনার দু মাসের মাথায় র‌্যাগিংয়ের শিকার খোদ উপাচার্য? বুদ্ধদেব সাউ বলছেন, র‌্যাগিং তো বটেই! কিছু ছাত্র অহেতুক ঝামেলা করছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (JU ) অচল করে দেওয়ার একটা প্ল্যান চলছে বলেও তাঁর মত। এই বিষয়ে বারবার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছেন তিনি। আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসমিতি (ইসি)-র বৈঠক রয়েছে। এই বৈঠকের আগেই ছাত্রদের দাবিতে একটি স্টেকহোল্ডারদের বৈঠকও রয়েছে। কিন্তু আজকের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রভাব কি পড়বে? বুদ্ধদেব জানিয়েছেন, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী র‌্যাগিংয়ের তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াডের। কিন্তু স্কোয়াডকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাই ওই রিপোর্ট কর্মসমিতির আসন্ন বৈঠকে পেশ করা হবে না। তবে এই মিটিংয়ে উপাচার্য অংশগ্রহণ করবেন কিনা সেটা নিয়েও একটা সংশয় তৈরি হয়েছে। ছাত্রমৃত্যুতে জড়িতদের শাস্তি মকুব করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল বুদ্ধদেবের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে সোমবার রাতে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “এ সবই অপপ্রচার।”