দিল্লির পাশাপাশি বাংলার গ্রামে গ্রামেও বঞ্চি.তদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি পালনের ডাক তৃণমূলের

আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে রাজধানীর বুকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-কর্মসূচি পালন করবে বাংলার শাসক দল

বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ ও গরিব মানুষের হকের টাকা আদায়ে “দিল্লি চলো” ডাক দিয়েছে তৃণমূল। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে রাজধানীর বুকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-কর্মসূচি পালন করবে বাংলার শাসক দল। বকেয়া আদায়ের লড়াইতে দিল্লির রাজপথে বাংলা তার প্রতিবাদ জানাবে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নেতৃত্ব এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকবেন।

এদিকে গরিব মানুষের দিল্লি যাওয়ার জন্য অগ্রিম দিয়ে রেলের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে বুক করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিজেপি সরকার শেষ মুহূর্তে আচমকা গরিবের ট্রেন বাতিল করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “গরিবের জন্য ট্রেন ভাড়া করা হয়েছিল। তা বাতিল করেছে। দূর দূর থেকে কষ্ট করে মানুষ এসেছেন। মহিলারা শিশু কোলে এসেছেন। বিজেপি ট্রেন বাতিল করে বিঘ্নিত করতে চেয়েছে কর্মসূচি। নরেন্দ্র মোদি বড় লোকের জন্য ট্রেন উদ্বোধন করছেন আর গরিবের ট্রেন বন্ধ করছেন।”

কুণালের সংযোজন, “আসলে তৃণমূলকে ভয় পেয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিলেই এজেন্সি দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়ে। আগেও করেছে। এবারও করেছে। এতেই ভয় প্রমাণ হয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল দিল্লিতে লক্ষাধিক বঞ্চিত মানুষের সমাবেশ। কিন্তু রামলীলা ময়দাবে তার অনুমতি দেয়নি। এসবই ভয় থেকে।”

এরপরই কুণাল বিজেপির অতীতের কর্মকাণ্ড স্মরণ করিয়ে বলেন, “আমাদের নেতৃত্ব দিল্লিতে শান্তিপূর্ণ অভিযান চান। বিজেপি নেতারা উস্কানি দিচ্ছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যের উপর দিয়ে গরিব মানুষ বাসে করে যাচ্ছেন যাচ্ছেন বকেয়া আদায়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের উপর কোনও আক্রমণ হলে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল। গণতান্ত্রিক ভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। বিজেপির ট্র্যাক রেকর্ড এক্ষেত্রে ভালো নয়।”

অন্যদিকে, ২ ও ৩ তারিখের কর্মসূচি নিয়ে কুণাল ঘোষ জানান, “২ অক্টোবর দিল্লির কর্মসূচির সঙ্গেই বাংলা জুড়ে গান্ধী গ্রামসভা পালিত হবে। প্রয়োজনে মোমবাতি মিছিলও হবে। কেন্দ্রের বৈষম্য তুলে ধরা হবে। ৩ তারিখ ১০০দিনের কাজ করেছেন পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না তাঁদের নিয়ে। যন্তরমন্তরে ধর্ণা হবে। বাংলাতেও প্রচার হবে গ্রামে গ্রামে। গরিব, শ্রমজীবী, কৃষকের পক্ষে তৃণমূল দিল্লির বুকে আওয়াজ তুলবে। গরিব বঞ্চিত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা এই কর্মসূচি পালন করবেন। যেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত নেই, সেখানে অঞ্চল সভাপতিরা এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবেন।”

Previous articleঅনুপ্র.বেশের চেষ্টা বানচাল! কুপওয়ারা সীমান্তে সেনার গু.লিতে খ.তম ২ জ.ঙ্গি
Next article“আর একটাও মৃ.ত্যু যেন না হয়” নবান্নের ডে.ঙ্গি বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর