Thursday, November 6, 2025

রাস্তা ফেরত চেয়ে ‘সুর নরম’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

Date:

সদ্য হেরিটেজ তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। আর তারপরই শুরু হয়েছে নতুন তরজা। এক সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পরপর দুটি চিঠি দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে কখনোই পিছপা হন না আরএসএস-র (RSS) পোস্টার বয় (Poster Boy) তথা বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। তবে আগেরবারের থেকে এবার অনেকটাই সুর নরম। রাজ্যু সরকারের পূর্ত বিভাগের রাস্তা বিশ্বভারতীকে ফেরত না দিতে অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্রমিকদের আপত্তি চিঠি পৌঁছনোর খবর পেয়ে উপাচার্য এবার অনুনয় বিনয় করে চিঠি পাঠালেন। শনিবার এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়ে উপাচার্য বলেন, সর্বেক্ষণ বিভাগের নির্দেশ ক্রমে শান্তিনিকেতন শ্রীনিকেতন রোডের নিয়ন্ত্রণ বিশ্বভারতীর হাতে না দিলে অনিয়ন্ত্রিত ভারি যানচলাচলে উপাসনাগৃহ সহ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি, উপাসনাগৃহের কাছে টোটোর দাপটে মন্দিরের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে।

আর এমতাবস্থায় ওই রাস্তার নিয়ন্ত্রণ বিশ্বভারতী ফিরে না পেলে “ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ” তকমা হারাবে শান্তিনিকেতন। সেক্ষেত্রে শুধু বিশ্বভারতী নয়, বাংলা থেকে এই বিশ্ব গৌরব তকমা চলে যাবে। আর তখনই তথাকথিত রবীন্দ্রানুরাগীরা কুম্ভ্রীরাশ্রু ফেলে উপাচার্যকেই দায়ী করবেন। এই আশ্রমিকরা আত্মকেন্দ্রিক। তারাঁ বিষদাঁত বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি করবে যেমনভাবে তাঁরা এযাবৎ ক্ষতি করে চলেছে। তবে এর আগে মমতার কাছে উপাচার্য এই একই দাবি জানানোর পর আশ্রমিকদের একাংশ পাল্টা চিঠি দিয়ে বিরোধিতা করেন। তাঁরা দাবি করেন, ওই রাস্তা ফেরানোর প্রয়োজন নেই। শনিবার দেওয়া চিঠিতে উপাচার্য তাঁদের কটাক্ষ করে লেখেন, যাঁরা বর্তমানে রাস্তা হস্তান্তরের বিরোধিতা করছেন, কোনও ভবনের ক্ষতি হলে তাঁরাই আবার গোটা ঘটনার দায় বিশ্বভারতীর ঘাড়ে ঠেলে দেবে। পাশাপাশি উপাচার্য বিদ্যুতের আরও অভিযোগ, একমাত্র লিভিং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বভারতী এই বিরল সম্মান বাংলারও। তা অক্ষুন্ন রাখতে গেলে এই রাস্তা ফেরত পাওয়া জরুরি।

যদিও উপাচার্যের আগের একই চিঠির প্রেক্ষিতে আপত্তি জানান প্রবীণ আশ্রমিকরা। আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোযপাধ্যাগয় বলেন, চারিদিকে পাঁচিল তুলে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন উপাচার্য। আশ্রমিকদের উনি জঞ্জাল বলেন। হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর একবার আশ্রমিকদের ডেকে কোন পরামর্শও নেন নি। উপাচার্যর সবাই শত্রু। আশ্রমিক শত্রু, বোলপুরের বাসিন্দা শত্রু, প্রশাসন শত্রু। এভাবে চললে কি করে চলবে? পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, উপাচার্যের ভারী যান চলাচলের যুক্তি একেবারেই সঠিক নয়। অন্যদিকে, আশ্রমিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর সুপ্রিয় ঠাকুর জানান, আমার মতে ওই রাস্তা রাজ্য সরকারের একেবারেই ফেরত দেওয়া উচিত নয়।

 

 

 

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version