বিমান ছাড়তেই শ্বা.সকষ্ট ছ’মাসের শিশুর! মাঝ আকাশে প্রাণ বাঁচালেন দুই চিকিৎসক

নির্ধারিত সময়েই রাঁচী থেকে ছেড়েছিল ইন্ডিগোর বিমানে। কিছুপরেই মাঝ আকাশে শিশুটির তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।সাহায্য চেয়ে কাঁদতে শুরু করেন শিশুটির মা। সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর আর্জি জানান শিশুটির বাবা-মা। বিমান কর্তৃপক্ষ চলন্ত বিমানেই জরুরি ঘোষণা করে যাত্রীদের মধ্যে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী কেউ থেকে থাকলে তাঁদের সাহায্য করার জন্য আর্জি জানান। অবশেষে শিশুটির পরিত্রাতা হিসেবে উঠে আসে বিমানে থাকা দুই চিকিৎসক। তাঁদের সাহায্যেই প্রাণ ফিরে পায় শিশুটি। পরে তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ বিমানের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ, আটক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবক
শনিবার রাঁচী থেকে দিল্লিগামী একটি বিমান যাত্রা শুরু করে। বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই শিশুটির তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কাঁদতে শুরু করেন শিশুটির মা। ওই বিমানেই ছিলেন চিকিৎসক তথা ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নিতিন কুলকার্নি। ছিলেন রাঁচী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোজাম্মিল ফিরোজও। শিশুটির কাছে তাঁরা দ্রুত পৌঁছে যান। তাঁরা জানতে পারেন যে, শিশুটির হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন মাস্কের সাহায্যে শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেন দুই চিকিৎসক। শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে থাকা একটি ইঞ্জেকশনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় বলে জানান চিকিৎসক কুলকার্নি।
তবে বিমানে েকস্িমিটার না থাকায় শিশুটির ব্লাড স্যাচুরেশন বুঝতে পারেননি চিকিৎসকেরা। বিমানে ছিল না ছোটদের অক্সিজেন মাস্কও। হৃদ্‌যন্ত্রের গতি বুঝতে স্টেথোস্কোপের উপরেই ভরসা রাখেন দুই চিকিৎসক। বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরে নামার আগেই প্রস্তুত ছিল একটি মেডিক্যাল টিম। ওই টিম শিশুটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার পরেই তাঁকে এইমসে ভর্তি করানো হয়।

Previous articleমহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে ‘অহিংস’ পথেই চলার বার্তা অভিষেকের
Next articleগান্ধী জয়ন্তীতে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর