বারবার চিঠি দিয়েও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। জোর করে ১০০ দিনের কাজ সহ বাংলার আটকে রাখা প্রাপ্য টাকা না মেটানোয় দিল্লির রাজপথে ‘শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহের’ ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর সোমবার গান্ধী জয়ন্তীর দিন তা দেখেই ভয়ে পা কাঁপতে শুরু করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের (BJP Govt)। আর বাংলার বঞ্চিতদের দাবি না শুনে নিজের গা বাঁচাতে অবশেষে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। রবিবারই দিল্লি আসার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ দিল্লিতে বসে সব কাজ করছেন। এমনকি বাংলা থেকে একাধিক বিজেপি নেতাকে ডেকে মিটিংও সেরেছেন তিনি। কিন্তু বাংলার বঞ্চনা প্রসঙ্গে একেবারেই কর্ণপাত করতে চাননি গিরিরাজ। তবে সোমবার দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার বঞ্চিতরা রাজপথে নামলে রীতিমতো ভয় পেয়েই সাংবাদিক বৈঠক করতে বাধ্য হন মোদি সরকারের এই মন্ত্রী।

সোমবার অভিষেকরা যখন রাজঘাটে অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন, তা দেখে ভয় পেয়েই সাংবাদিক বৈঠক করে গিরিরাজের সাফাই, একশো দিনের কাজের টাকার ক্ষেত্রে বাংলায় প্রচুর ভুয়ো জব কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে নিজেদের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী। গিরিরাজের দাবি, যখন আধারের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা হল তখন দেখা গিয়েছে প্রায় ২৫ লাখ জবকার্ডে হেরফের রয়েছে। তবে এখন এমন সময় এসেছে, আমার মনে হচ্ছে এটার তদন্তভার আমাকে সিবিআই-র উপর দিয়ে দিতে হবে। তাঁর আরও বক্তব্য, বাংলায় একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে যখন অনুসন্ধান করা হয়, তখন নাকি অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করা হয়নি। তবে গিরিরাজের এমন ‘মনগড়া’ মন্তব্যকে একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ বাংলার বঞ্চিতরা। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া সব তথ্য ত্রুটিতে ভরা।

It is, by now, an indisputable fact that the @BJP4India-led Centre has withheld a staggering ₹6,907.15 crore under MGNREGS. Yet, here we have @SuvenduWB trumpeting the supposed increase in fund allocation to Bengal during the NDA regime, as if they've done us a special favor.… https://t.co/hNe3s053Wj
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 2, 2023
তবে বাংলার বঞ্চিতদের সঙ্গে দেখা করা বা সময় দিতে না চাইলেও সোমবার সকাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ গিরিরাজ। একের পর এক পোস্টে প্রতিটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার জন্য বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। পাশাপাশি বাংলার বরাদ্দ নিয়ে ইউপিএ আমলের সঙ্গে এনডিএ-র তুলনা টেনে মোদি সরকারের ভাবমূর্তি উদ্ধারে ময়দানে নেমে পড়েন তিনি। তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সড়ক, বার্ধক্য পেনশন, বিধবা পেনশন-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নিয়েও মন্তব্য করেন গিরিরাজ।
